গাইবান্ধায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত
সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, রাজশাহীঃ আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জনউদ্যোগ গাইবান্ধা ও সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ, গাইবান্ধার যৌথ আয়োজনে গত ৯ আগষ্ট ২০২২ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস- ২০২২ আয়োজনের শুরুতেই গাইবান্ধা জেলা শহরের নাট্য সংস্থার সম্মুখে প্রতিবাদী সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য মিছিল গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আদিবাসী সাঁওতাল নারী-পুরুষরা প্রতিবাদী গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদের আহবায়ক ও গাইবান্ধা বার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, আদিবাসী নেতা সুফল হেমব্রম, থমাস হেমব্রম, নিরঞ্জন পাহান প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবেই সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সাঁওতালরা তাদের অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। শুধু আদিবাসী সম্প্রদায় বিলুপ্ত হচ্ছে না, তাঁদের সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য ও বিলুপ্ত হচ্ছে। সাঁওতাল হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আজও বিচার কাজ শুরু হয়নি। প্রতিনিয়ত সাঁওতালদের মধ্যে আতঙ্ক ও হুমকির মধ্যে বিরাজমান। তারা সরকারের প্রতি তিন সাঁওতাল হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার করার এবং তিন ফসলি জমি ফেরতের পাশাপাশি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মার্ডি নিহত তিন সাঁওতালদের রক্তে ভেজা জমিতে ইপিজেড করতে দেওয়া হবে না। গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের বাপ-দাদার তিন ফসলি জমিতে EPZ এর নামে উচ্ছেদের চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে।