জাতীয়

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আজ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে

দেশের দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে রোববার একযোগে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা; যাতে অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী।
রোববার সকাল ১০টায় এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র এবং বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের (ডিআইবিএস) পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে শিক্ষার্থীরা আলিমে কুরআন মাজিদ এবং এইচএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ [সৃজনশীল (নতুন/পুরতান সিলেবাস)] ও বাংলা-১ [সৃজনশীল (নতুন/পুরতান সিলেবাস)] বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছেন।
আর এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় দ্বাদশ শ্রেণিতে বাংলা-২ (নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-২ (পুরাতন সিলেবাস) এবং একাদশে বাংলা-১ (সৃজনশীল নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-১ (সৃজনশীল পুরাতন সিলেবাস) পরীক্ষা চলছে।
এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা-ইন কমার্সে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাংলা-২ এবং একাদশে বাংলা-১ (সৃজনশীল) বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এবার পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন। এই হিসাবে এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে এসএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং ২০১৫ সালে যশোর বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের পর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী কমায় এবার এইচএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে।
>> এ বছর এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯৯ হাজার ৩২০ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ ৯৬ হাজার ৯১৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৪ হাজার ৬৬৯ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
>> মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন ছাত্রী।
>> এবার ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
>> দেশের বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, এর মধ্যে ১২৯ জন ছাত্র এবং ১৪২ জন ছাত্রী।
এবার ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হবে। গত বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হয়।
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।
আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাবেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও এমন কোনো ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন না যা দিয়ে ছবি তোলা যায়। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ।
আগামী ১৫ মে এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১৬ থেকে ২৫ মের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

Back to top button