২য় তম আবিমা ফেস্টিভ্যাল ১১ নভেম্বর
কাঞ্চন মারাক: বাংলাদেশে বসবাসরত গারো আদিবাসীদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংষ্কৃতি ধরে রাখার প্রয়াসে ঘোষিত হয়েছে ‘২য় তম আবিমা ফেস্টিভ্যাল – ২২’ এর সম্ভাব্য তারিখ।
গত ২ জুলাই আয়োজক কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং অফিশিয়ার ফেইসবুক পেইজে তারিখ ঘোষনা করা হয়। ঘোষনা অনুযায়ী ২য় তম আসর আগামী ১১ নভেম্বর ২০২২ মধুপুর উপজেলার সাইনামারী গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকরা জানান, গারোদের প্রধান উৎসব ওয়ানগালা ও রংচুগাল্লার মতো ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ছাড়াও ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের মাধ্যমে গারো আদিবাসীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তোলে ধরা এবং নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি যত্নশীল এবং সংস্কৃতি সচেতন প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য এই আয়োজন।
আবিমা ফেস্টিভ্যাল ‘শেকড়ের খোঁজে, প্রজন্মের মেলবন্ধন’ স্লোগানে বিগত ৮ নভেম্বর ২০১৯ খ্রি: প্রথম আসরের আয়োজন করা হয় জাঙ্গালিয়া গ্রামে। প্রথম ধাপ করোনা মহামারিতে যথেষ্ট বিধি-নিষেধ মেনে অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। কিন্তু, অতিমারীর ফলে ২০-২১ সাল টানা দু’বছর এটি স্থগিত থাকার পর এবছরে ২য় তম আসরের আয়োজন করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল বলেন, ‘টানা দু’বছর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষিত হলেও, স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। আশা করি এ বছর সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।’
অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি আরোও বলেন, ‘পুরো অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ গারো ভাষায় পরিচালিত হবে। গারো জাতিসত্তার বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, লেখক, কবি, গবেষক, শিল্পী ও জাতিতে বিশেষ অবদানকারীদের বিশেষ আমন্ত্রন এবং গারো লেখকদের বই ও সাংবাদিক কর্ণার তৈরি করা হবে। তাছাড়া এবার অনুষ্ঠানকে দু’টো ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে থাকবে আলোচনা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠান এবং দ্বিতীয়তে থাকবে গারো জাতিসত্বার ব্যান্ড দলের কনসার্ট অনুষ্ঠান।’
জানা গেছে, প্রতি ১ বছর অন্তর বিভিন্ন গ্রামগুলিতে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গারোদের মিলন মেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
আয়োজক কমিটির সভাপতি বিমল বেঞ্জামিন নকরেক আইপি নিউজকে বলেন, ‘আশা রাখি, পরবর্তি অনুষ্ঠানগুলিতে অন্য রাষ্ট্রে বসবাসরত গারোদের আমন্ত্রন জানানো হবে।’
তিনি বিশেষ বার্তায় দেশের সকল গারো জাতিসত্তার মানুষকে ‘আবিমা ফেস্টিভ্যাল – ২২’ এ উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান সফল করার আহ্বান জানান।