মতামত ও বিশ্লেষণ

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ ১৬ দফা দাবিতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ- সোহেল হাজং

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃত্বে ১৮ মে বুধবার দেশের রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসক অফিস ঘেরাও করে ১৬ দফা দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে আদিবাসীরা। এই ১৬টি দাবির মধ্যে প্রধান দাবিটি ছিল- “আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।” দেশের সমগ্র আদিবাসীদের এই দাবিটি দীর্ঘদিনের এবং প্রধান একটি দাবি। পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলোও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও ন্যায়সঙ্গত।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের মতে, এদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেই ভিন্ন ভিন্ন ৩৮ টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ২০ লক্ষাধিক মানুষের বাস। এদেশকে টিকিয়ে রাখতে তারা সবসময় সোচ্চার ছিলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামেও আদিবাসীদের রয়েছে অসামান্য অবদান। কিন্তু এসব আদিবাসীরা দেশে অত্যন্ত অবহেলিত ও প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘণের শিকার হচ্ছে। ভূমি বেদখল তাদের প্রধান সমস্যা। দেশের ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে এসব ভূমিপুত্র আদিবাসীরা আজ ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যেখানো উন্নয়নের কথা শোনানো হয় সেখানে কতটুকু কষ্টে থাকলে এসব অসহায় আদিবাসীরা একযোগে নিজেদের দাবি নিয়ে এতগুলো ডিসি অফিসে সমবেত হয় তা গভীরে গিয়ে ভাবা দরকার। আদিবাসীদের উত্থাপিত দাবিগুলোর প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

প্রধান দাবিটির প্রসঙ্গে এসে বলতে হয়, এদেশ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি কি মুছে ফেলা সম্ভব বা দাবিয়ে রাখা সম্ভব? প্রায় একযুগ ধরে তো কত চেষ্টা হলো সরকারের পক্ষ থেকে আদিবাসী শব্দটি মুছে ফেলতে। কিন্তু সম্ভব হয়েছে কি? যে নামটি আদিবাসীদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেঁথে আছে তা জোর করে বাইরে থেকে মুছে ফেলা যায় কীকরে!

এদেশের আদিবাসীরা কি নামে পরিচিত হবে সেটা আদিবাসীরা ঠিক করুক। সে স্বাধীনতা তাদের দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেয়া নাম হয়তো কোথাও কোথাও ব্যবহার দেখানো যায় কিন্তু আদিবাসীদের রন্ধ্রে প্রবেশ করানো যায় না সেটাতো দেখতেই পাচ্ছি।

আদিবাসী নাম নিয়ে মূলত বিতর্ক শুরু হয় ২০০৯ সালের পর থেকে। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তোলে ধরেন। তিনি এদেশের আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে বারণ করেছিলেন (বিবিসি বাংলা, ৯ আগস্ট ২০১৬)। তিনি তাদের ‘জাতিগত সংখ্যালঘু’ বা ‘উপজাতি’ নামে আখ্যায়িত করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘বাঙালিরাই এদেশের আদিবাসী (বিবিসি বাংলা, ৯ আগস্ট ২০১১)।’

২০১০ সালে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০’ প্রণয়ন করা হলে এ বিতর্কটি জোরালো হয়। এ আইনটি স্বাধীন বাংলাদেশে আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে প্রণিত একটি প্রথম আইন হলেও ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ টার্মটি ভালো লাগেনি অধিকাংশ মানুষের। আবার অনেকে এটাকে ধরে নিয়েছিল দেশ থেকে আদিবাসীদের অস্তিত্ব অস্বীকার করার পরিকল্পনা হিসেবে।

উক্ত আইনটি হওয়ার পরই সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ‘আদিবাসী নাম-বিতর্ক’ নামে প্রথম আলো পত্রিকায় এক কলামে লিখেছেন, ‘বিলটিতে বাংলাদেশের আদিবাসীদের নতুন নামকরণ করা হয়েছে যে তারা ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’। অর্থাৎ আইনটি কার্যকর হওয়ার ফলে এতকাল আদিবাসী নামে তাদের যে পরিচয় ছিল, সেটা আইনগত বাতিল হয়ে গেল, এখন তাদের পরিচিতি হবে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ (প্রথম আলো, ২৫ জুন ২০১০)।’ তিনি তার জীবনের অতীত ইতিহাস টেনে বলেছেন, “আমার জন্ম রাজশাহী শহরে মাতামহীর বাড়িতে। রাজশাহীর সাঁওতাল আদিবাসীদের নেতা ছিলেন সাগারাম মাঝি। তিনি ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইন পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি রাজশাহী শহরের সাগরপাড়ায় আদিবাসীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ১৯৫৪ সালেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি আদিবাসী ছাত্রাবাস। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি ছাত্রাবাসটি দ্বিতল ভবন করেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর সেটার নামকরণ হয় ‘সাগারাম মাঝি আদিবাসী ছাত্রাবাস’। এখন আলোচ্য আইনটি (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন) জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর ওই ছাত্রাবাসের নেমপ্লেট ফেলে দিয়ে কি নতুন নেমপ্লেট বসাতে হবে, যাতে লেখা থাকবে ‘সাগারাম মাঝি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্রাবাস’? (প্রথম আলো, ২৫ জুন ২০১০)।” আমার জানা নেই, সত্যি সত্যি সে ছাত্রাবাসের নাম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নামে রাখা হলো কীনা!

২০১১ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বে সংবিধানে আদিবাসীদের কোনো নামেই উল্লেখ করা ছিল না। কিন্তু ৭২’এর সংবিধানের একটি অংশে ‘অনগ্রসর অংশ’ নামে যে কথাটি লিখা ছিল সেটি দিয়েই এই অবহেলিত জাতিগোষ্ঠীদের মনে করা হতো। যার ফলে সংবিধানে আদিবাসীদের সুনির্দিষ্ট কোন নামে স্বীকৃতি না থাকায় তাদেরকে কখনো আদিবাসী, উপজাতি, ট্রাইবাল, পাহাড়ি, জুম্ম জাতি ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হতো।

২০১১ সালে এসে বাংলাদেশ সরকার এসব জাতিগোষ্ঠীদের সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য একটি চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করে বলা যায়। যার ফলে, বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ২৩ক অনুচ্ছেদে তাদের সংযোজন করে এভাবে, -‘রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ কিন্তু একদিকে এ অনুচ্ছেদে আদিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ‘ভূমি’ ও ‘মাতৃভাষা’ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি অন্যদিকে ‘আদিবাসী’ নামের পরিবর্তে এখানে বিতর্কিত ৪টি নামে (‘উপজাতি’, ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’, ‘নৃ-গোষ্ঠী’ ও ‘সম্প্রদায়’) আখ্যায়িত করা হয়েছে যা এদেশের আদিবাসী জনগণ ও সুশীল সমাজ ব্যাপকভাবে নিন্দা জানায়। এসব নামে অভিহিত করার জন্য কয়েকজন সাংসদ সংসদে প্রতিবাদও জানিয়েছেন । ক্ষমতাসীন সরকারি দল ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার করেছিল কিন্তু তারা সংবিধান সংশোধনীতে এটা সেভাবে আনার সাহস দেখায়নি দেখে আদিবাসীরা হতাশ।

বলার অপেক্ষা রাখে না, একসময় আমাদের দেশের সরকার, জনগণসহ সকল শ্রেণির মানুষ নির্দ্বিধায় আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এ নামে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু স্কুল, প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তখন কারো কোন প্রশ্ন ছিল না।

কিন্তু এখন আদিবাসী শব্দটি কেন ভিন্ন চোখে দেখা হচ্ছে, এর অর্থ খোঁজা হচ্ছে, বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, তার প্রভাব শুধু আদিবাসীদের জীবনে পড়ছে না, রীতিমত তাদের অস্তিত্বে আঘাত হানা শুরু হয়েছে।

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, ‘অনেক শব্দ আছে, যার অর্থ ডিকশনারিতে বেঁধে দেওয়া অর্থ থেকে অনেক বেশি ব্যাপক। আদিবাসী ঠিক সেই রকম একটা শব্দ। আমরা বহদিন ধরে এই শব্দটা ব্যবহার করে আসছি। হঠাৎ করে দেশের সরকার তাদের নিজস্ব একটা অর্থ দিয়ে এটাকে বেঁধে ফেলতে পারবে না। যদি তার চেষ্টা করা হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা খুব দুর্ভাবনায় পড়ে যাব (প্রথম আলো, ৯ আগস্ট, ২০১১)।’

সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আগে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহৃত হলেও এখন সরকারের পক্ষ থেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। যেমন সরকার একবার বলছে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই। আবার অন্য সময় বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে বাঙালিরাই হচ্ছে আদিবাসী।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘আমার মনে হয়, কোথাও কোনো গোলমাল হয়েছে। আদিবাসী শব্দের অর্থ নিয়ে অন্য রকম ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আদিবাসী অর্থ তো কে কোথায় প্রথম আবির্ভূত হলো বা বসতি গড়ে তুলল, তা নয়। আদিবাসী বলা হলে অন্যরা অ-আদিবাসী বা বহিরাগত হয়ে যাবে, তা তো নয়। আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের সময় থেকে ঐতিহাসিক কারণে এই আদিবাসীরা বঞ্চিত ও শোষিত। আমাদের দেশেও আদিবাসী মানেই নিজ বাসভূমে পরবাসী একশ্রেণীর অসহায় মানুষ, যাদের জায়গা-জমি, পাহাড়-বন, আবাস্থল শক্তির জোরে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের একসময় ভাষা ও সংস্কৃতি ছিল, এখন বিপন্ন। এই-ই তো বৈশিষ্ট্য আদিবাসীদের, যাকে কোনো সংজ্ঞায় ফেলা সমীচীন হবে না’ (প্রথম আলো, ১৮ মার্চ ২০১১)।

‘আদিবাসী’ টার্মটি বাংলাদেশে নতুন নয়। নোটিশ করে এ টার্মটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়বেই। যেমনি আগে বলা হয়েছিল এবং সরকারি নথিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। নিন্মে সেগুলোর কিছু তালিকা দেয়া হল:

১. দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (২০০৯) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (২০০৩) আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সম্বোধন করে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন।
২. জাতীয় সংসদের সাংসদদের নিয়ে ‘আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস’ গঠিত হয়েছে বর্তমানে এর নাম ‘আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাস’ ।
৩. পিআরএসপিতে আদিবাসীদের কথা এবং ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
৪. জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ সহ বিভিন্ন সরকারি নীতিতে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে এবং তা এখনও বলবৎ আছে।
৫. দেশের মহান জাতীয় সংসদে ও সংসদের বাইরে বিভিন্ন সময়ে অনেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, স্পিকার আদিবাসী শব্দটি বহুবার উচ্চারণ করেছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
৬. আওয়ামী লীগ ও মহাজোট সরকারের জাতীয় নির্বাচনী ইশতেহারে (২০০৮) আদিবাসী শব্দটি উল্লেখ করে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চয়তার কথা অঙ্গীকার করা হয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য বামদলগুলোও তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আদিবাসী কথাটি উল্লেখ করেছে।
৭. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ২২ জুন তারিখে ‘আদিবাসী ও ট্রাইবাল জনগোষ্ঠী কনভেনশন ১৯৫৭ (নং ১০৭)’ অনুস্বাক্ষর করেছে। তখন সরকার এটা বলেনি যে দেশে আদিবাসী নেই।
৮. ১৯৮২ সালে জাতিসংঘের একজন বিশেষ প্রতিবেদককে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিল যে, দেশে আদিবাসীদের অবস্থান রয়েছে।
৯. পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৯০০ সালের শাসনবিধিতে আদিবাসী পাহাড়ী (ইন্ডিজেনাস হিলম্যান) লেখা আছে।
১০. ১৯৫০ সালের পূূর্ব বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ব আইনে ৯৭ ধারায় সাঁওতাল, ভুইয়া, ভুমিজ, ডালু, গারো, হদি, হাজং, খাসিয়া, কোচ, কড়া, মগ, মুন্ডা, ওঁরাও ইত্যাদি প্রায় ২১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাসের কথা বলা হয়েছে এবং এ আদিবাসীদের জমি হস্তান্তরের ব্যাপারে তাদের সুবিধার্থে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
১১. ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০’ আইনের সংজ্ঞায় ২(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অর্থ তফসিলে উল্লিখিত বিভিন্ন ‘আদিবাসী’ তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও শ্রেণির জনগণ’। অতএব রাষ্ট্রের এ আইনেও ‘আদিবাসী’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে।
১২. সরকারের সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ‘ইউনাইটেড ন্যাশন ডিক্লারেশন অন দি রাইট্স অব ইন্ডিজেনাস পিপল্স ২০০৭’ বাস্তবায়নসহ ‘আইএলও ইন্ডিজেনাস এন্ড ট্রাইবাল পিপলস কনভেনশন ১৬৯’ দৃঢ়ভাবে প্রয়োগের বিষয় সক্রিয় বিবেচনায় রাখবে বলা হয়েছে।

সোহেল হাজং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য।

Back to top button