আঞ্চলিক সংবাদ

রাঙামাটি শহরের পাবলিক হেলথ্ এলাকায় পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলা করেছে দুর্বত্তরা; আটক ৪

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি শহরের পাবলিক হেলথ্ এলাকায় পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলা করেছে দুর্বত্তরা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। ভাংচুর করা হয়েছে সরকারী কর্মকর্তা কাহিনী খীসার বাড়িঘর। এই ঘটনায় পাহাড়িরা বাঙালীদের দায়ী করেছেন। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ মো. কবির হোসেন, মো. রসুল মিয়া, মো. মুক্তার হোসেন ও মো. ইদ্রিসকে আটক করেছে।
কাহিনী খীসার ভাই বিক্রম আলো খীসা বলেন, বুধবার তাদের ঘর নির্মাণ কাজ চলছিল এমন অবস্থায় বোটে করে দেড় শতাধিক বাঙালী এসে নির্মাধীন পিলার উপরে ফেলে এবং পুরাতন ঘরে সব তচনচ করে দেয়।
বিক্রম আলো খীসা স্ত্রী লক্ষ্মী খীসা (৩২) বলেন, মো. সাগর ও বাবুল মিয়া এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা সকালে বোটে করে মানুষ এনে তাদের বাড়িতে জড়ো করায়। খবর পেয়ে আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু সাগর কার সাথে মোবাইলে করে স্যার স্যার করার পর সবাই জড়ো হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে মো সাগর বলেন, আমরা পাবলিক হেলথ্ দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা দাবী করেছিলাম। কথা ছিল রাস্তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে একাধিক বার সমঝোতা বৈঠকও হয়। কিন্তু বুধবার সেই রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে তাই আমাদের নারীরা ভেঙে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ৮ নং পৌর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা বলেন, এটি পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে। ২০১১ সালের দিকে জেলা প্রশাসকের জায়গা দখল করে ৪/৫ পরিবার কাপ্তাই হ্রদের জেগে উঠা দ্বীপে ঘর বানায়। জেলা প্রশাসক এদের উচ্ছেদও করে।
এটি নিরাপত্তা বাহিনীরা জলযান ঘাট হিসেব ব্যবহার করে। তাই নিরাপত্তার জন্য সেখানে এক সময় বড়শি দিয়েও মাছ ধরা যেত না। নাগরিকের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পৌরসভা রাস্তা করে দিবে কিন্তু তারা তার অপেক্ষা না করে হামলা শুরু করে দিয়েছে। যেখানে ঘর করা হয়েছে সেখানে নৌকা ছাড়া যাওয়ার কোন রাস্তায় ছিল না এবং বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি মুহাম্মদ রশীদ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এই ঘটনায় এলাকায় পাহাড়িদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় পাহাড়িরা ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় পাহারা দিচ্ছেন।
মিতালী চাকমা (৩৫) বলেন, আরো হামলা হয় কিনা আতংকে আছি। এক ছেলে কালিন্দীপুর প্রাইভেট পড়তে গেছে তাকে বাড়িতে না আসতে এবং সেখানে আত্মীয়ের বাসায় থাকতে বলেছি।

Back to top button