জাতীয়

সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচন মানবেনা ঐক্য পরিষদ

আজ (১৭ জানুয়ারী, ২০২০ শুক্রবার) সকালে ঢাকার ৮৭ পুরানা পল্টন লাইনস্থ পল্টন টাওয়ারের ইকোনোমিক রিপোর্টাস ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টামন্ডলীর যৌথ বর্ধিত সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব কর্তৃক ৩০ জানুয়ারী, ২০২০ একই ভোটকেন্দ্রের এক কক্ষে নির্বাচন, আরেক কক্ষে পূজোনুষ্ঠান এবং সর্বশেষ পূজোর জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভক্তকরনের প্রস্তাবনাকে পূজার্থী জনগনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে মনে করে এ প্রস্তাবনাকে ‘বাস্তবতাবিবর্জিত ও অবান্তর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা’ প্রত্যাখ্যান করা হয়। এহেন ধর্মীয় অনুভূতি ক্ষুণœকারী বক্তব্য প্রদানের জন্যে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন সচিবকে তাঁর পদ থেকে অপসারনের জোর দাবী জানিয়ে সুস্পষ্টভাবে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০ সরস্বতী পূজোর দিনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আপামর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ইতোমধ্যে মেনে নেয়নি এবং মানবে না।

সভায় ৩০ জানুয়ারী, ২০২০ ইং সরস্বতী পূজোর দিনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের বিরোধীতায় দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় এবং এ আন্দোলনের সূচনায় ‘ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন মানি না, মানবো না’ এ দাবীতে দেশব্যাপী আগামী ২০ জানুয়ারী, ২০২০ সোমবার সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চাভুক্ত সকল সংগঠনকে নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। সিদ্ধান্তে বলা হয়, একই দাবীতে ঢাকাসহ সারাদেশে ৩০ জানুয়ারীর পূর্বপর্যন্ত মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট, প্রতীকী অনশন, অবরোধ কর্মসূচীসহ নানান কর্মসূচী ঘোষণা করে নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পন্থায় সংবিধান সমুন্নত রাখার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

সরস্বতী পুজো উপলক্ষে নির্বাচনের তারিখ পুণনির্ধারনের দাবীতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদ ও সাধারণ ছাত্র সমাজের ন্যায়সংগত আন্দোলনের প্রতি সভায় আন্তরিক সংহতি প্রকাশ করে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়নে এ আন্দোলন একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

দু’পর্বে অনুষ্ঠিত এ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত কর্তৃক প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর ৭৪টি সাংগঠনিক কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিরাও ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাংসদ এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, কাজল দেবনাথ, নির্মল রোজারিও, মনীন্দ্র কুমার নাথ, নির্মল চ্যাটার্জী, এ্যাড. তাপস পাল, এ্যাড. শ্যামল রায়, এ্যাড কিশোর মন্ডল প্রমুখ।

সভায় গৃহীত আরেক সিদ্ধান্তের নির্বাচনের তারিখ পুণনির্ধারনের জন্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তরের মূল প্রতিদ্বন্দিতাকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার মেয়র প্রার্থী সর্বজনাব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ইশরাক হোসেন, আতিকুল ইসলাম ও তাবিথ আউয়াল এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ-র রির্টানিং কর্মকর্তাদ্বয়ের নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবী উত্থাপন করায় তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।

Back to top button