সাহেবগঞ্জে ৬০০ আদিবাসী ঘরে অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষঃ পুলিশসহ ২১ জন আহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাহেবগঞ্জ বাগদা-ফার্ম এলাকায় ৬ নভেম্বর ২০১৬ পুলিশ এবং স্থানীয় আদিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন, মিল কতৃপক্ষ ইক্ষু কাটার নামে আদিবাসীদের বাড়ি-ঘরে, বিদ্যালয়ে আগুন লাগিয়ে উচ্ছেদ করতে গেলে এই সংঘর্ষ বাধে। কয়েক দফা সংঘর্ষে ছয় পুলিশসহ কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে ৪ জন আদিবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহতরা এখন রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে।
রবিবার বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে রংপুর চিনিকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আখ কাটতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের রূপ নেয়। এসময় উভয় পক্ষের ২১ জন আহত হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আদিবাসীসহ সেখানকার প্রান্তিক বাঙ্গালি কৃষকরা তাদের বাপ-দাদার ১৮৪২.৩০ একর সম্পত্তি ফিরে পাবার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্র ও প্রশাসন কখনই তাদের এ ন্যায্য দাবি আমলে নেয়নি। বরং গায়ের জোরে বারংবার উচ্ছেদের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে প্রতিরোধ হয়েছে সংঘর্ষ হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুলিশ এবং মাস্তান বাহিনী সাহেবগঞ্জে গড়ে ওঠা ভূমিহীন সাঁওতাল পল্লীতে এলোপাথারি গুলি চালিয়ে নারী ও শিশুসহ সবাইকে গ্রাম ছাড়া করে প্রায় ৬০০ ঘর ও স্কুলে অগ্নিসংযোগ করে। বর্তমানে সেই পল্লীতে বসবাসরত ২৫০০টি পরিবার গৃহহীন, নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে।