সমতলের আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ সামান্য বেড়েছে, কমেছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে
সোহেল হাজং: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সমতলের আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ আগের তুলনায় ১০ কোটি টাকা বেড়েছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গতবছরের চেয়ে কমেছে ১১৫ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) নামক খাতে সমতলের আদিবাসীদের জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা এবং তার আগের বছর ৩০ কোটি টাকা। এ বরাদ্দ পরিমাণ এবার আরো ১০ কোটি টাকা বাড়িয়ে রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বাজেটের আকার ধারাবাহিকভাবে বিগত বছরগুলোতে বাড়লেও এবার কমানো হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ১,৩০৯ কোটি টাকা। কিন্তু এবার তার তুলনায় ১১৫ কোটি টাকা কমিয়ে রাখা হয়েছে ১,১৯৪ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। আর বাংলাদেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর চলতি মেয়াদের প্রথম ও টানা ১১তম বাজেট। সবমিলিয়ে ১৯তম বাজেট। এটি সংসদে পাস হবে ৩০ জুন। যদিও এটি একটি স্মার্ট বাজেট হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিগত বছরের বাজেট বক্তৃতার মতো এবারও দেশের অবহেলিত ৩০ লক্ষাধিক আদিবাসীদের বিষয়ে কোন একটি প্যারা বা অনুচ্ছেদ বাজেট বক্তৃতায় রাখা হয়নি। আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের অঙ্গীকার থাকলেও সে অনুযায়ী এ বাজেটে কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি।
সমতলের বিশলক্ষাধিক আদিবাসী বরাবরই উন্নয়ন বাজেটে অবহেলিত থাকে। তাদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন এবং মন্ত্রণালয় বা খাতভিত্তিক বাজেট প্রণয়ণের দাবি করে আসছে আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে। এদেশের আদিবাসীদের উন্নয়নে বাজেট বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের মূল সমস্যা সমাধানে তাদের সংখ্যানুপাতিক হারে বরাদ্দ রাখা এবং বাজেট বাস্তবায়নে তাদের সরাসরি অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।