অন্যান্য

সিপিবি’র ডাকে ‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’ শুরু

প্রতিটি ইউনিয়নে ‘সরকারি ক্রয়কেন্দ্র’ চালু করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে নির্ধারিত ১,০৪০ টাকা মণ দরে ধান ক্রয় করার দাবিতে ২০-২৬ মে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঘোষিত ‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’ আজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষক-ক্ষেতমজুররা ধান ক্রয়ের দাবিতে সিপিবি’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’-এর শুরুতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, মাঠ পর্যায়ের হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে উৎপাদন ব্যয়ের তুলানায় কম দামে বিক্রি করায় প্রতি মণ ধানে কৃষকের লোকসান হচ্ছে ন্যূনতম ২০০ টাকা। এতে ৪৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৫ কোটি মণ বোরো ধান উৎপাদনকারী কৃষকরা ১ হাজার কোটি টাকার লোকসান গুণতে বাধ্য হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কৃষকরা কেনার সময় বেশি দাম দেয় আর বেঁচার সময় কম দামে বেঁচতে বাধ্য হয়। তাঁরা বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ‘এফএও’-এর এক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল চ‚ড়ান্ত ভোক্তারা কোনো কৃষি পণ্য যে দামে কিনবে, সেই পণ্যের প্রাথমিক উৎপাদনকারী যেন কমপক্ষে তার ৭৫ শতাংশ দাম পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগঠনসমূহের দাবির সাথে ঐকমত্য পোষণ করে কৃষি পণ্যের জন্য লাভজনক দাম অর্থাৎ উৎপাদন ব্যয়ের দেড়গুণ দাম নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ ‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’ এ জেলা-উপজেলায় সরকারি ক্রয়কেন্দ্রসমূহ এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট প্রভৃতি কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে ‘সরকারি ক্রয়কেন্দ্র’ চালু করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে নির্ধারিত ১,০৪০ টাকা মণ দরে ধান ক্রয়সহ অন্যান্য দাবিসমূহ তুলে ধরতে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের আহ্বান জানান।

Back to top button