রাঙ্গামাটি জেলার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও নিরাপত্তাবাহিনীর হস্তক্ষেপের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদন: চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাঙ্গামাটি জেলাধীন ইউনিয়নসমূহে ৪জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯মে ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক মনোনয়ন প্রত্যাহারে ইচ্ছুক চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের নিরপত্তা প্রদানের অজুহাতে আটকিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক নির্বচানী এলাকায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি নির্বাচন অফিসে বসে থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধা দেয় বলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন।
এইছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য প্রার্থীদের হয়রানি করছে। যা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘ্নিত করে তুলছে বলে সচেতন মহল আশংকা প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের এইসব অনিয়মের বিষয়ে অভিহিত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙ্গামাটি জেলা শাখা প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর ২০ মে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিটি আইপিনিউজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল ।
তারিখ: ২০ মে ২০১৬
বরাবর,
মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
শেরে-ই-বাংলা নগর, ঢাকা।
মাধ্যম: জেলা নির্বাচন কর্র্মকর্তা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
বিষয়: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অহেতুক হস্তক্ষেপ, অপপ্রচার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানি প্রসঙ্গে।
মহাশয়,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সারাদেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬-এর অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনও ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। আর তখন থেকেই রাঙ্গামাটি জেলার ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনী যোগসাজসে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক হস্তক্ষেপ, অপপ্রচার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানি ইত্যাদি নির্বাচন পরিপনন্থী কার্যক্রম শুরু করে। তারই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করা ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউপি নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অজুহাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত ২৪ মার্চ ২০১৬ রাঙামাটি শহরে এক তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের আয়োজন করে।
এর পরপরই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে’ আওয়ামীলীগের অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারার ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন অজুহাত তুলে। তারই প্রেক্ষিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন (২৭ এপ্রিল) অতিক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৯ এপ্রিল ২০১৬ রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার হীন উদ্দেশ্যে আওয়ামীলীগ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী সহযোগিতায় এ ধরনের ষড়ষন্ত্রমূলক প্রচারণা চালাতে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন হারিয়েছে বলে অনেকের অভিমত রয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা সেটা বুঝতে পেরে দলীয় নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস না করার কারণে দলীয় প্রতীক (নৌকা মার্কা) নিয়ে অনেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন না। সেসময় দলীয় প্রতীক না নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাঙ্গামাটি জেলাধীন অনেক ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যেমন- রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউপিতে অমর কুমার চাকমা ও বন্দুকভাঙ্গা ইউপিকে পংকজ চাকমা; জুরাছড়ি উপজেলাধীন জুরাছড়ি ইউপিতে মিতা চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপিতে সুরেশ কান্তি চাকমা ও মৈদুং ইউপিতে লাল বিহারী চাকমা প্রমুখ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় নৌকা প্রতীক না দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
রাঙ্গামাটি জেলাধীন ইউপিগুলোর নির্বাচন স্থগিত করার সাথে সাথে সেনাবাহিনী ও বিজিবি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসী অভিযান জোরদার করে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ প্রার্থীদেরকে ভোট দিতে জনসাধারণকে নির্দেশ দিতে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো ও ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ও বিজিবি রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই তল্লাসী অভিযান চালাতে থাকে। নিম্নে এসব তৎপরতার কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা উল্লেখ করা গেল-
১। গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন ১নং জীবতলি ইউনিয়নে বিভিন্ন দোকানে-বাড়িঘরে তল্লাশী চালিয়েছে পার্শ্ববর্তী বিলাইছড়ি উপজেলার দীঘলছড়ি সেনা জোনের অধীন গাছকাবা ছড়া সেনাক্যাম্প থেকে আসা জনৈক মেজরের নেতৃত্বে একদল সেনাসদস্য। এতে সেনাসদস্যরা ৩টি জুম্ম দোকানে মালপত্র এবং ২টি স্থানীয় সংগঠনের কার্যালয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করে।
২। গত ৮ এপ্রিল ২০১৬ দিবাগত রাত আনুমানিক ২:০০ টায় রাঙ্গামাটি জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট-গঙ্গারাম মুখ এলাকায় বাঘাইহাট সেনা জোনের কমান্ডার হায়দার আলীর নেতৃত্বে একদল সেনাসদস্য কোন কারণ ব্যতিরেকে দুই নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
৩। গত ২২ এপ্রিল ২০১৬ ভোর আনুমানিক ৫:২০ টায় রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের জুম্ম বসতি সংলগ্ন ১নং রাবার বাগান এলাকায় সন্ত্রাসী খোঁজার নামে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হতে আসা সেনাবাহিনীর ৯ ইবি-এর একদল সেনাসদস্য সন্ত্রাসী খোঁজার নামে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। এর পরপরই এলাকার ২৪ জন জুম্ম গ্রামবাসীকে আটক করে এদের মধ্য থেকে ৫ জনকে বেদম মারধরসহ নানা নির্যাতন চালায়।
৪। গত ২১-২২ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে জুরাছড়ি জোনের (দুর্নিবার ১১ বেঙ্গল) জোন কম্যান্ডার লে: কর্ণেল মেসবাহউল খান-এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্যরা জুরাছড়ি উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় টহল অভিযান চালায়।
৫। গত ১৫ মে ২০১৬ রাত আনুমানিক ১১:০০ টায় জুরাছড়ি উপজেলার ফকিরাছড়া সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কম্যান্ডার (সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার) মো: নাসির (দুর্নিবার ১১ বেঙ্গল) এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একদল সেনা জারুলছড়ি মৌজার হেডম্যান এবং মৈদুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাধনানন্দ চাকমার বাড়ি ঘেরাও করে বলে জানা যায়। সেখানে সন্ত্রাসী আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। রাত তিনটার পর সেনারা ক্যাম্পে ফিরে যায়।
৬। গত ১৫ মে ২০১৬ মারিশ্যা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী প্রার্থী সুমন চাকমার দুই সমর্থককে যথাক্রমে প্রস্তাবকারী সুকান্ত চাকমা ও সমর্থনকারী প্রজ্ঞান চাকমাকে আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে গুজব ছড়ানো হয়।
৭। গত ১৭ মে ২০১৬, সকাল ১০:০০ টা থেকে ১০:৩০ টার মধ্যে জুরাছড়ি উপজেলাধীন বনযোগীছড়া সেনা জোনের কম্যাণ্ডার লে: কর্ণেল মেসবাউল হক (দুর্নিবার ১১ বেঙ্গল) জুরাছড়ি নির্বাচর্নী অফিসে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফোন করে জানিয়ে দেন যে, কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য আসলে সেনা জোনের সুপারিশ ব্যতীত যাতে কাউকে প্রত্যাহার করতে না দেয়া হয়।
৮। গত ১৭ মে ২০১৬, আনুমানিক সন্ধ্যা ৮:৩০ টার দিকে রাঙ্গামাটি জেলার এএসপি (সার্কেল) পরিচয় দিয়ে ০১৭১১৭৩৮৪৯৫ নম্বর থেকে জনসংহতি সমিতির রাজস’লী থানা শাখার বাচ্চু চাকমাকে ফোন করে জানানো হয় যে, তার (বাচ্চু চাকমার) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাই সতর্ক হতে তাকে সাবধান করা হয়েছে। গাইন্দ্যা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী উবাচ মারমা ও উপজেলা চেয়ারম্যান অথিনসিং মারমা সকাল ১০:০০ টায় থানায় যান। সেখানে ঘন্টা খানেক কথা বলার পর রাজসস্থলী সেনা সাব-জোনে যান বলে জানা যায়।
৯। গত ১৮ মে ২০১৬, সকাল ১০:০০ টার দিকে সার্বোয়াতলী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন চাকমা তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে গেলে বাঘাইছড়ি থানার পুলিশ সদস্যরা পিকআপে তুলে থানায় নিয়ে যায়। থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে থানার ওসি জানান যে, বাঘাইছড়ি বিজিবি জোন কম্যান্ডার নাকি তার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন তাই তাকে ডাকা হয়েছে। তিনি যাতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে না পারেন তজ্জন্য তাকে বাঘাইছড়ি বিজিবি জোনে ১৯ মে পর্যন্ত রেখে সেদিন সন্ধ্যার দিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। (দ্রষ্টব্য প্রথম আলো, ২০ মে ২০১৬ এবং মানবকণ্ঠ, ২০ মে ২০১৬, ‘মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে গিয়ে প্রার্থীকে আটক’)।
১০। গত ১৮ মে ২০১৬ বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনী অফিসে দীঘলছড়ি জোন থেকে একদল সেনা সদস্য গিয়ে অবস্থান নেয়। ফারুয়া ইউনিয়নের মেম্বার মেম্বারপ্রার্থী যথাক্রমে ৮নং ওয়ার্ডের দিলীপ কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, ৫নং ওয়ার্ডের সুব্রত তঞ্চঙ্গ্যা, ৪নং ওয়ার্ডের প্রদীপ তঞ্চঙ্গ্যা ও খুশীবাবু তঞ্চঙ্গ্যা, ৬নং ওয়ার্ডের অমরসিং চাকমা প্রমুখ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে গেলে সেনা সদস্যরা তাদেরকে প্রত্যাহারে বাধা দেয় এবং বিলাইছড়ি জোন থেকে প্রত্যাহারের অনুমতি বা সুপারিশ নিয়ে আসতে প্রত্যাহার ইচ্ছ্যুক প্রার্থীদের নির্দেশ দেয়। তবে বিলাইছড়ি উপজেলায় একজন মেম্বার প্রত্যাহার করতে সক্ষম হলেও প্রত্যাহারে ইচ্ছ্যুক অন্যান্য প্রার্থীরা প্রত্যাহার করতে পারেনি।
১১। গত ১৮ মে ২০১৬ কেঙড়াছড়ি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চন্দ্রলাল চাকমা তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার পর নির্র্বাচন অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, তিনি যেন দীঘলছড়ি জোনে দেখা করেন। দুপুরের দিকে দীঘলছড়ি জোনে দেখা করতে গেলে সেনা সদস্যরা তাকে বিনা কারণে আটক করে বিলাইছড়ি থানায় সোপর্দ করে। সেনা জোনের নির্দেশে তাকে থানায় ১৯ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত রেখে পরে সেনা জোন থেকে ছেড়ে দেয়। চন্দ্রলাল চাকমা শারীরিকভাবে অসুস’ ছিলেন।
১২। গত ১৮ মে ২০১৬ সন্ধ্যায় দিকে সন্ত্রাসী খোঁজার নামে জনৈক মেজরের নেতৃত্বে বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমার বাসভবন ঘেরাও করে। ফারুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থী জীবন তঞ্চঙ্গ্যাকে খোঁজ করে পরে চলে যায়।
১৩। গত ১৮ মে ২০১৬ সকাল থেকে রাজস্থলী উপজেলার নির্বাচনী অফিসে গিয়ে ডিজিএফআইয়ের দেলোয়ার ও এএসআই আলমগীর অবস্থান নেয়। কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে গেলে তাকে বা তাদেরকে প্রত্যাহারে বাধা দেয়। কয়েকজন মেম্বারপ্রার্থী প্রত্যাহার করতে সক্ষম হলেও দুইজন মেম্বারপ্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে দেয়া হয়নি। গত ১৯ মে ২০১৬ সকাল থেকে রাজস্থলী জোন থেকে একদল সেনা এসে আবার উপজেলা অফিস ঘেরাও করে রাখে এবং কাউকেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে দেয়নি।
১৪। গত ১৯ মে ২০১৬ সকাল থেকে জুরাছড়ি জোন থেকে একজন সেনা গিয়ে জুরাছড়ি নির্বাচনী অফিসে অবস্থান নেয় এবং যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে গেছে তাদেরকে প্রত্যাহারে বাধা দেয়।
১৫। গত ১৯ মে ২০১৬ একদল সেনা গিয়ে লংগদু উপজেলা নির্বাচনী অফিসেও টহল দেয় এবং যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে গেছে তাদেরকে প্রত্যাহারে বাধা দেয় বলে জানা গেছে।
অতএব, উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদয় আবেদন জানানো গেল।
নিবেদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি,রাঙ্গামাটি জেলা