১৪৩ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
টেস্ট যে টিকে থাকার খেলা তা যেন ভুলেই গেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে থাকার বদলে আসা যাওয়ায় ব্যস্ত ছিল টাইগাররা। আর তার মাশুলও দিতে হলো কড়ায়গণ্ডায়। ফলে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের করা ২৮২ রানের জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিনে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
মাঠে নেমে ৫০ রানের আগেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর সেই বিপদ ভয়াবহ হয় মুশফিকুর রহিমকে হারানোর পর। ফেরার আগে ৫ চারে ৩১ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
এর আগে একে একে আউট হন ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারা কেউই দুই সংখ্যার ঘরে ব্যক্তিগত স্কোরকে নিতে পারেননি। আর মুমিনুল ফেরার আগে ১১ রান করেন।
এরপর চা-বিরতির পর মুশফিক দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। ৭৪ রান ৫ উইকেটে হরিয়ে ধুকতে থাকা দলকে আস্তে আস্তে এগিয়ে নেন। কিন্তু বেশি দূর এগুতে পারলেন না। কাইল জার্ভিসির বলে ক্যাচ দেন তিনি। ৫৪ বলে ৩১ রান থামেন মুশফিক।
এরপর বাঁহাতি স্পিনে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ৭ উইকেটের পতন ঘটান শন উইলিয়ামস। ৩৩ বলে তিন চারে ২১ রান করে বিদায় নেন মিরাজ। তিনি ক্যাচ আউট হন।
মিরাজের পর তাইজুল ইসলামকে ফেরান সিকান্দার রাজা। তার অফ স্পিনে কট বিহাইন্ড হন। ২৪ বলে ৮ রান করেন তাইজুল। তাইজুলের পর রাজার শিকার হন অপু। ১৪৩ রানে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে এক বাউন্ডারিতে ৪ রান করেন অপু।
এসময় লড়াই করলেন কেবল অভিষিক্ত আরিফুল হক। ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান আবু জায়েদ চৌধুরীকে আগলে রেখে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রান আউট হন জায়েদ। তার আউটে ১৪৩ রানে থামে বাংলাদেশ।
অভিষেক টেস্টে নিজের প্রথম ইনিংসে ৯৬ বলে তিন চারে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল। আর দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ১৪০ রান এগিয়ে জিম্বাবুয়ে।