আঞ্চলিক সংবাদ

‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র–জনতার’ ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র–জনতার’ ওপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।

ক্যাম্পাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।

সমাবেশ থেকে বিক্ষোভে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দসংবলিত গ্রাফিতির ছবি পুনর্বহাল এবং স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি নামের সংগঠনকে উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান তাঁরা।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুস্মিতা সরেন, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ছয়েস তালুকদার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন চাকমা প্রমুখ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি বিজয় চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর তাঁরা আশা করছিলেন সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুমাত্রিক, বৈষম্যহীন ও অন্তর্বর্তীমূলক বাংলাদেশ গঠিত হবে। কিন্তু সবার মুখে শুধু বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথার ফুলঝুড়ি, বাস্তবে এ কথার কোনো প্রয়োগ নেই। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তাঁরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাননি। যখনই তাঁরা ন্যায্য অধিকার ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন, তখনই একটা পক্ষ তাঁদের ভারতের দালাল বলে বিভাজন তৈরি করে এবং দেশ ভাগ করার অভিযোগ তোলে। বৈষম্যহীন দেশ গড়ার জন্য গণ–অভ্যুত্থানে তাঁরাও আন্দোলন করেছেন। তাঁরা কখনোই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান না।

 

তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো

Back to top button