শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির আন্দোলনের অগ্রসেনানী ছিলেন আবুল বাশারঃ চট্টগ্রামে স্মরণসভায় বক্তারা
আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল বাশারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভা আজ সোমবার বিকাল ৪টায় ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় দোস্ত বিল্ডিং এ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা কমিটি যৌথভাবে আয়োজিত এই সম্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ। জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় ম্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার সসাধারণ সম্পাদক মছিউদৌলা,জাতীয় গার্মেন্টস ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ফয়েজ আহম্মদ, শ্রমিক নেতা আবদুল খালেক, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য মনসুর মাসুদ, মোখতার আহম্মদ, আমিন জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জাতীয় কৃষক সমিতির জেলা আহবায়ক মাহবুব আলম, সিজেএমসিএল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন নেতা মকবুল আহম্মদ, যুব নেতা ডা.মোহাম্মদ মহসীন প্রমুখ।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, আবুল বাশার সদ্য প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানে শ্রমিক আন্দোলনকে একটি আপোসহীন ধারায় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার-মালিকের কঠিন নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁনো শিখিয়ে ছিলেন। আইয়ুবের স্বৈরাচারী শাসনের মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলায় একটি ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক সংগঠন ও আন্দোলনের জন্ম দেন। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও একটি জনগনতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি শ্রমিকদের সচেতন করেন। তাঁর নেতৃত্বে হাজারো শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই দেশের পাটকলসহ প্রায় সকল রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পের শ্রমিকদের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন আবুল বাশার।
বক্তারা আরো বলেন, নুন্যতম মজুরিসহ শ্রমিকদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সফল করতে আজ আবুল বাশারের সংগ্রামী অভিজ্ঞতা ও চেতনাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন । শ্রমিক শ্রেণির মজুরি বৃদ্ধির সংগ্রাম শুধু নয় ,তার মুক্তির আন্দোলনকে জোরদার করার মাধ্যমেই আবুল বাশারকে স্মরণ করতে হবে। শ্রমিক-কৃষকের অধিকারসহ সমতাভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর আন্দোলনরে মূল লক্ষ্য ছিল।
বক্তারা আরো বলেন, বন্ধ পাটকল চালু করা, শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী ২০হাজার টাকা করা এবং শ্রমিক,কৃষক,দিনমজুরদের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করতে আবুল বাশারের পথ ধরেই একটি ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলতে পারলে শ্রমিকদের সংগ্রাম পূর্ণতা পাবে।