শেষ ম্যাচও হারলেন বাংলাদেশের মেয়েরা
দারুণ বোলিং, বাজে ব্যাটিং। যেভাবে ছিল টুর্নামেন্টের শুরু, একইভাবে এগিয়ে চলা, সেই চক্রেই শেষ। দিশাহীন ব্যাটিংয়ের আরেকটি অধ্যায় রচনা করে শেষ ম্যাচেও হারল বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন দলটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব ম্যাচ হেরে শেষ করল গ্রুপ পর্বের তলানিতে থেকে।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ৩০ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে সেন্ট লুসিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৯ রানে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটাররা চরম ব্যর্থ আবারও। পুরো ২০ ওভার খেলে ৫টি মাত্র উইকেট হারালেও রান উঠেছে কেবল ৭৯।
এই ৭৯ রানই টুর্নামেন্টের চার ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ! আগের তিন ম্যাচে স্কোর ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৬, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭২।
ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে এ দিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা বেশ ভালো করেছিল। ওপেনিংয়ে লিজেল লি করেন ১৩ বলে ২১ রান। তিনে নেমে মারিজান ক্যাপ ১৯ বলে ২৫। ১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৩ উইকেটে ৬৪।
কিন্তু ইনিংসের পরের ভাগে দারুণভাবে ফিরে আসে বাংলাদেশর বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা তাই শেষ পর্যন্ত খুব বড় স্কোর গড়তে পারেনি।
৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট স্পর্শ করেন সালমা খাতুন। এ দিন ১ উইকেট নিয়ে রুমানা আহমেদের উইকেট ৫২টি।
রান তাড়ায় যথারীতি প্রতিপক্ষকে সামান্য চাপেও ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে পরিবর্তন এনেও লাভ হয়নি। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা শারমিন আক্তার ৮ করতে বল খেলেছেন ২২টি। আরেক ওপেনার আয়েশা রহমান ৯ বলে ৩।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রান আসে কেবল ১৩। পরের ব্যাটাররাও খুব সুবিধা করতে পারেননি। না পেরেছেন কেউ বড় শট খেলতে, না পেরেছেন এক-দুই নিতে। ফারজানা হক ১৯ রান করলেও বল খেলেছেন ৩৬টি।
কেবল রুমানার ব্যাটিংয়েই ছিল খানিকটা কিছু করে দেখানোর তাড়না। চেষ্টা করেছে বড় শট খেলতে, উদ্ভাবনী কিছু করে রান বাড়াতে। তাতে মোটামুটি সফল হয়েছেন। অপরাজিত ৩৪ করেছেন ৪০ বলে। সঙ্গী পাননি কাউকে।
ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা নাসের হুসেইন ম্যাচ শেষে যৌক্তিকভাবেই বললেন, “ছোট রান তাড়ায় সব ওভার খেলে কেবল ৫ উইকেট হারিয়েও যদি প্রতিপক্ষ থেকে ৩০ রান পেছনে থাকতে হয়, ছেলেদের ক্রিকেট হলে তুলোধুনো করা হতো। একইভাবে মেয়েদেরও করা উচিত!”
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১০৯/৯ (ক্যাপ ২৫, লি ২১, ট্রায়ন ১৮, ফন নিকার্ক ১৭, ডু প্রিজ ১৪; জাহানারা ৩-০-১৪-০, সালমা ৪-১-২০-৩, রুমানা ৪-০-২১-১, কুবরা ৪-০-১৮-২, রিতু ১-০-১১-০, নাহিদা ২-০-১১-১, ফাহিমা ২-০-১৩-১)।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ৭৯/৫(শারমিন ৮, আয়েশা ৩, ফারজানা ১৯, নিগার ৪, রুমানা ৩৪*, জাহানারা ০, সালমা ৭*; ড্যানিয়েলস ১/৬, সেকুকুনে ১/১২, ক্লাস ১/১৩, লুস ১/১৫, ফন নিকার্ক ১/১৭)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০ রানে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: মারিজান ক্যাপ