মতামত ও বিশ্লেষণ

শৃগালবৃত্তির রাজনৈতিক অর্থনীতি ও জাতীয় বাজেট বরাদ্দে আদিবাসীদের প্রতি প্রবঞ্চনার আখ্যান-২য় পর্ব

লেখক: মিলিন্দ মারমা

বাংলাদেশে বিগত ৫ দশকে জাতীয় বাজেটে (১৯৭২–২০২২) মোট উন্নয়ন প্রকল্প/কার্যক্রমের সংখ্যা ছিল ১,০৬,৫৩৫ টি I  এর মধ্যে ৫৭২৬ টি (৫.৩৭%) কোন না কোনভাবে আদিবাসীদের সামনে রেখে করা। আদিবাসীদের জনসংখ্যা ৫০ লক্ষ ধরলে তারা দেশের মোট জনসংখ্যার ২.৯৪% (যদিও সরকারি হিসেবে তা ১%)। এই হিসেবে আদিবাসীদের উন্নয়নে নিয়োজিত প্রকল্প সংখ্যা দেশের মোট উন্নয়ন প্রকল্প বা কার্যক্রমের ৫.৩৭%, যা আপাত দৃষ্টিতে ভালো মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিগত ৫ দশকে জাতীয় বাজেটে সরকারের মোট বরাদ্দ ছিল (২০২১–২২ অর্থ বছরের বাজার মূল্যে) ৬০,৩৫,৯১৩ কোটি টাকা, এর মধ্যে আদিবাসী মানুষ সংশ্লিষ্ট বরাদ্দের পরিমাণ ১,০০,৭৫৭ কোটি টাকা। এর অর্থ হলো বিগত ৫ দশকে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দকৃত মোট অর্থের মাত্র ১.৬৭% বরাদ্দ হয়েছে আদিবাসী সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও কার্যক্রমে। অথচ আদিবাসীরা হচ্ছে মোট জনসংখ্যার ২.৯৪%। I দেখা গেছে, গত ৫ দশকের জাতীয় বাজেটে এই বৈষম্য অপরিবর্তিত ছিল। উপরন্তু, দেশের প্রান্তিক মানুষ হিসেবে আদিবাসীরা আরো প্রান্তিক হয়েই চলেছে।(গ্রন্থঃ অ-জনগণকরণের রাজনৈতিক অর্থনীতি—আবুল বারকাত, ২০২৩)I যেখানে আদিবাসীরা মোট জনসংখ্যার ২.৯৪%, সেখানে জাতীয় বাজেটে ১.৬৭% বরাদ্দ দেওয়া একটি প্রবঞ্চনা বলা যায়।

ড. বারকাত তাঁর গবেষণা গ্রন্থে হিসেব নিকেশ করে দেখিয়েছেন, গত ৫ দশকের বাজেটে জনসংখ্যা অনুপাতে আদিবাসীদের ন্যায্য হিস্যা ছিল – ১,৭৭,৪৫৬ কোটি টাকা। কিন্তু উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বরাদ্দ মিলে তারা পেয়েছেন মাত্র ১,০০,৭৫৭ কোটি টাকা(ন্যায্য হিস্যার ৫৭%)। এর মধ্যে আবার উন্নয়ন বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র ৩৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকা (মোট হিস্যার ২১%)। এক্ষেত্রে মোট বাজেট বরাদ্দে ৫ দশকে তাদের বঞ্চিত হিস্যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬, ৬৯৮ কোটি টাকা, বর্তমানে যার বাজার মূল্য বছরে ১, ৫৩৪ কোটি টাকা। জনসংখ্যা ভিত্তিক এ হিসাবে বাজেটে আদিবাসী মানুষের বৈষম্য ও বঞ্চনার মাত্রা দাঁড়ায় ৭৬.১২% I  গত ৫ দশক ধরে জাতীয় বাজেটে  জনসংখ্যার অনুপাতে আদিবাসীদের আদর্শ হিস্যার মাত্র ৫৭% দেওয়া হয়েছে আর বাকি ৪৩% দেওয়া হয়নি। আবার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার ৬৩% হলো অনুন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ যার সাথে আদিবাসীদের জীবন জীবিকা উন্নয়নের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। এক্ষেত্রে উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে দেখা যায় বাজেটে তাদের বৈষম্য ও বঞ্চনার প্রকৃত মাত্রা আসলে ৭৬.১২% নয়, বরঞ্চ এই মাত্রাটি হবে ৩৭৬%। উন্নয়ন বরাদ্দের ৩৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকা হিসেবে নিলে দেখা যায়, তারা তাদের প্রাপ্য আদর্শ হিস্যার মাত্র ২১% পেয়েছেন আর বাকি ৭৯% তাদের দেওয়া হয়নি। জনসংখ্যা অনুপাতে জাতীয় বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দের নিরিখে আদিবাসীদের  “বঞ্চনা–বৈষম্য -শোষণ  মাত্রা”  যদি ৩৭৬% হয়, তাহলে তার সমপরিমাণ অর্থ দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা (২০২১–২০২২ এর বাজার মূল্যে)। এই পরিমাণ অর্থ আদিবাসীদের উন্নয়নে ব্যয় না করে লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে শেয়ালরূপী সেই ৫% মানুষ । সেই ৫% মানুষ হলো সমাজের সর্বোচ্চ স্তরে বিরাজমান, তারা রাষ্ট্রের কায়েমি স্বার্থ রক্ষা ও আদিবাসীদের প্রান্তিকীকরণের প্রক্রিয়ায়  নিবেদিত প্রাণ।

ড. আবুল বারকাত গত ৫ দশক ধরে জাতীয় বাজেট বরাদ্দে যে বৈষম্য বিদ্যমান তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রথমত প্রচলিত বাজেট বরাদ্দ ফাঁক (allocation gap ) পূরণ করার কথা বলেছেন – দ্বিতীয়তঃ পুঞ্জীভূত বৈষম্য–অসমতা দূর করার জন্য “ইতিবাচক বৈষম্য হ্রাস নীতি” (principle of positive discrimination ) গ্রহণ করে সামনের  দিকে অন্তত এক দশক মাথাপিছু বরাদ্দ জাতীয় গড় বরাদ্দের চেয়ে বেশি রাখার কথা বলেছেন। কিন্তু হা হতোস্মি! গত ৩ অর্থ বছরের বাজেট (২০২৩–২০২৫) বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আদিবাসীরা বঞ্চনার যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। গত ৩ অর্থ বছরে জাতীয় মাথাপিছু বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বাড়লেও আদিবাসীদের মাথাপিছু বরাদ্দ কমে এসেছে।

তথ্যসূত্র : পারিবারিক কৃষি, গ্রামীণ নারী, আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের জন্য জাতীয় বাজেট বরাদ্দ, ২০২৩,  প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অংশীদারিত্ব ও বাজেট ভাবনা ২০২৪,  বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাজেট ভাবনা ২০২৫, প্রকাশক:  এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ALRD) ও হিউম্যান  ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার  (HDRC) I

উপরের চার্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ২০২২–২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটে জাতীয় মাথাপিছু বরাদ্দ যেখানে ছিল ৩৯,৮৮৬ টাকা, সেখানে আদিবাসীদের ক্ষেত্রে মাথাপিছু বরাদ্দ ছিল ১৯,২৫০ টাকা। এ  ক্ষেত্রে মাথাপিছু বরাদ্দ ফাঁক ছিল  ২০,৫৩৬ টাকা। পরবর্তী অর্থ বছরে (২০২৩–২০২৪) দেখা গেছে, জাতীয় মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৬,১২৫ টাকায় কিন্তু আদিবাসীদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২,০৪৭ টাকায়। ফলে বাজেট বরাদ্দ ফাঁকও বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪,০৭৮ টাকায়। সর্বশেষ  অর্থবছরে (২০২৪–২০২৫) জাতীয় মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৪৭,০৩২ টাকা আর আদিবাসীদের মাথাপিছু বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ৬,৭৫৩ টাকায়। আর বরাদ্দ ফাঁক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০,২৭৯ টাকায়। ড. আবুল বরাকাতের প্রস্তাবিত মডেল অনুসারে যদি আমরা দেখি , আদিবাসীদের প্রতি বাজেট বরাদ্দে ঐতিহাসিক বঞ্চনা দূর করার জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আদিবাসীদেরকে বাজেটে মাথাপিছু যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে (২০২৪–২০২৫ অর্থ বছরের হিসাবে ৬,৭৫৩ টাকা) তার সাথে বরাদ্দ ফাঁক পূরণ করার জন্য মাথাপিছু আরো ৪০,২৭৯ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া উচিত (মোট ৪৭,০৩২ টাকা)। এর মধ্য দিয়ে প্রথমেই আদিবাসীদের প্রতি যে বরাদ্দ বৈষম্য চলে এসেছে তা দূর করা যেতে পারে। তারপর পুঞ্জীভূত বরাদ্দ বৈষম্য দূর করার জন্য “ইতিবাচক বৈষম্য হ্রাস নীতি”  প্রয়োগ করা প্রয়োজন  আদিবাসীদের জন্য মাথাপিছু অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। চলমান  বাজেটে আদিবাসীদের জন্য যে বৈষম্য বা বাজেট বরাদ্দ ফাঁক (৪০,২৭৯ টাকা) রয়েছে তার আনুমানিক তিনভাগের এক ভাগ অংশের সমপরিমাণ অর্থ (১৩,৪২৬ টাকা) আদিবাসীদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ দিতে হবে। অর্থাৎ আদিবাসীদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ হওয়া উচিত ৬০,৪৫৮ টাকা, এর মধ্যে ৪০,২৭৯ টাকা হবে বরাদ্দ ফাঁক পূরণের জন্য, ১৩,৪২৬ টাকা হবে ইতিবাচক বৈষম্য হ্রাস নীতি প্রয়োগের কারণে এবং ৬,৭৫৩ টাকা হচ্ছে আদিবাসীদের জন্য মাথাপিছু যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেটা। উল্লেখ্য যে, আদিবাসীরা যে বাজেটে শুধু তাদের জন্য প্রস্তাবিত অংশই পাওয়ার অধিকার রাখবেন এমন নয়। তারা পারিবারিক কৃষি, গ্রামীণ নারী এবং ভূমি সংস্কার উদ্দিষ্ট বাজেটীয় প্রস্তাবের হিস্যাও পাবেন। কারণ তারা এই তিন বর্গেরও প্রতিনিধিত্বশীল মানুষ।

প্রতি বছরের মতো  এই বছরও অধিকার ভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ALRD)  ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিউমান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (HDRC) মিলে জাতীয় বাজেট এ প্রান্তিক মানুষের উপর বাজেট বরাদ্দের স্বরূপ ও প্রস্তাবনা নিয়ে “বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাজেট ভাবনা ২০২৫”-শীর্ষক  গবেষণাধর্মী রিপোর্ট প্রকাশ করেছে I  উক্ত রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়,  “দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ আদিবাসী দীর্ঘদিন ধরে  জাতীয় নীতিমালা ও বাজেট কাঠামোর প্রান্তে অবস্থান করছে I ইতিহাস , সংখ্যা ও অধিকার সংক্রান্ত নীতিগত অনীহার কারণে তাদের জীবনমান উন্নয়নের পথে তৈরী হয়েছে এক  গহ্বর I উক্ত রিপোর্টে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের প্রতি বার্তা হলো , আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ যেহেতু বরাবরই অপ্রতুল , বিচ্ছিন্ন ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে প্রণীত হয় -নীতি নির্ধারকদের জন্য যেটা জরুরি তা হলো -আদিবাসীদের উন্নয়নকে আর কেবল সহানুভূতির বিষয় না ভেবে একটি সাংবিধানিক ও মানবাধিকার ভিত্তিক ন্যায্যতার প্রশ্ন হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া I “

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনপদের একটি বিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।

রিপোর্টের  সার সংক্ষেপে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের  বাজেটে  আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ কমপক্ষে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা নর্ধিারণ করার দাবি করা হয়, যার ৬০% সমতলের  এবং ৪০% পার্বত্য চট্টগ্রামের  জন্য । এ ছাড়া আদিবাসীদের জন্য মাথা পিছু বরাদ্দ বিদ্যমান বরাদ্দের দ্বিগুন করার প্রস্তাবও রয়েছে I এ ছাড়া আদিবাসী  জনগোষ্ঠীর সুনির্দিষ্ট, হালনাগাদ ও গোষ্ঠীভত্তিকি পরিসংখ্যান  প্রস্তুতের  জন্য বিশেষ আদিবাসী  জনশুমারি পরিচালনার  জন্য বাজেট বরাদ্দ করা, পার্বত্য ও সমতল আদিবাসীদের   জন্য ভিন্ন  বরাদ্দ রাখা – খাতভিত্তিক ও উপখাতভিত্তিক লাইন-আইটেম এ  সুনির্দিষ্ট ও যুক্তি সঙ্গত  বরাদ্দ দেয়া,আদিবাসী  জনগোষ্ঠীদের  মাঝে নির্বাচিত অতি প্রান্তিক  গোষ্ঠীদের অস্তিত্ব রক্ষা ও জীবনমান নিশ্চিতে  কর্মসুচির  জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা, আদিবাসী অধ্যুষতি এলাকায় প্রাকৃতিক  বন ও পানির  উৎস রক্ষা ও উন্নয়নে পর্যাপ্ত  বরাদ্দ রাখা প্রভৃতি দাবি তুলে ধরা হয় I

সমতলের  আদিবাসীদের জন্য একটি পৃথক ভূমি কমিশন  গঠন ও তার কার্যকারিতা  নিশ্চিত করতে পাঁচ বছর মেয়াদি  বাজেট  রাখা, সমতলের  আদিবাসীদের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার এবং এর পুনর্বাসনের  জন্য বাজেটে  আলাদা বরাদ্দ দেয়া,  সমতলের  আদিবাসীদের প্রথাগত সামাজিক কাঠামো ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য  রক্ষায় সুনর্দিষ্টি বাজেট বরাদ্দ রাখা প্রভৃতি  দাবি উঠে আসে I  পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ক্ষেত্রে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে স্থানচ্যুত ও উদ্বাস্তু পাহাড়ি আদিবাসীদের  পুনর্বাসনের  জন্য পর্যাপ্ত  বরাদ্দ দেয়া, জুম চাষী পরিবারগুলোর জীবনযাত্রা উন্নয়নের  জন্য বিশেষ  সহায়তা প্রদান এবং তাদের কর্মহীন সময়ের  জন্য জরুরি রেশন  সরবরাহ নিশ্চিত  করতে যথাযথ বাজেট বরাদ্দ রাখা, হেডম্যান ও কারবারিদের  ভাতা খাতে বাজেট  বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, পার্বত্য চুক্তির  বাস্তবায়ন ও সম্প্রীতি রক্ষার জন্য বাজটে বরাদ্দ করা, পার্বত্য অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকে পর্যাপ্ত  যন্ত্রপাতি ও সেবা নিশ্চিত  করতে বাজেট  বরাদ্দ করা, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত অধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন সমন্বয়ের জন্য পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ -এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বছরে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা এবং পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের জন্য অন্তত ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য I

৫ দশকের বেশি সময়  ধরে আদিবাসীরা বিভিন্নভাবে শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়ে এসেছে I জুলাই গণ অভুত্থান এর পরবর্তী বাস্তবতায় এখন সময় ও সুযোগ এসেছে এই শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটানোর I রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের উচিত নাগরিক সমাজের দাবি গুলো বিবেচনায় নিয়ে আদিবাসীদের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা I তাহলেই শুধু শৃগালবৃত্তির রাজনৈতিক অর্থনীতি থেকে বের হয়ে এসে প্রান্তিক মানুষের প্রতি চলমান বৈষম্য বিলোপ করা সম্ভব হবে I

মিলিন্দ মারমা: আদিবাসী লেখক ও অধিকারকর্মী I

Email: [email protected]

Back to top button