শান্তিতে নোবেলজয়ী বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ডেসমন্ড টুটু’র প্রয়াণ

শান্তিতে নোবেলজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন। আজ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিবিসি’র অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। মৃত্যুকালে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এই নেতার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তাঁর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ক্যান্সার থেকে সৃষ্ট জটিলতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেসমন্ড টুটু ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ট্রাস্টের মুখপাত্র রজার ফ্রিডম্যান।
বর্ণবৈষম্য প্রথা বিলুপ্ত করার সংগ্রামে ভূমিকা রাখার জন্য ১৯৮৪ সালে ডেসমন্ড টুটুকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন দেশ-বিদেশের অন্যতম পরিচিত ব্যক্তিত্ব। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সমসাময়িক ছিলেন এই ডেসমন্ড টুটু। তিনি ছিলেন বর্ণভিত্তিক বিভাজনের নীতির অবসান ঘটানোর আন্দোলনের পেছনের অন্যতম চালিকাশক্তি।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এক শোকবার্তায় বলেছেন, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু একটি স্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা অর্জনে সহায়তা করেছিলেন।
সিরিল রামাফোসা আরো বলেন, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু একটি স্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দান করতে সাহায্য করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, টুটু ছিলেন একজন আইকনিক আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন বর্ণবাদ-বিরোধী কর্মী ও বিশ্ব মানবাধিকারের প্রচারক।
টুটুকে একজন নীতিমান ও বাস্তববাদী নেতা হিসেবে বর্ণনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। বর্ণবাদের শক্তির বিরুদ্ধে অসাধারণ বুদ্ধি, সততা ও অপরাজেয় একজন মানুষ ছিলেন বলেও জানান তিনি।
ডেসমন্ড টুটু’র জন্ম ১৯৩১ সালের ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের ক্লের্কড্রপ এ। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে (১৯৬২-৬৬) ধর্মতত্ত্বে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করলেন টুটু। তারপর দক্ষিণ আফ্রকায় ফিরে আসেন; এবং ধর্মতত্ত্ব পড়াতে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন টুটু। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নিরসনে তার রয়েছে বিশাল অবদান।