লংগদু ক্ষতিগ্রস্তদের ইউএনডিপি, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নগদ অর্থ প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক, ১০অক্টোবর, রাঙ্গামাটিঃ রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে গত ২ জুন সংঘটিত অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া পাহাড়ীদের ১৭৬টি ঘর-বাড়ি সরকার নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন প্রকল্প মাধ্যমে আগামী নভেম্বর মাস থেকে এই গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং এক বছর তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার তিনটিলা, বাট্টাপাড়া ও মানিকজোর ছড়ার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ী পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণকালে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের এই প্রতিশ্রুতি দেন।
লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সময় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৬ পরিবারকে প্রতি পরিবার ববাদ নগদ ২৪ হাজার টাকা এবং আংশিক ও ভাড়াটিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮ পরিবারকে পরিবার প্রতি ১২ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া পুড়ে যাওয়া ১০টি দোকানের মালিককে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। একই সময় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২২৪ পরিবারকে পরিবার প্রতি ১১ হাজার ৫শ টাকা করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম, ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা ঐশর্য্য চাকমা ও ঝুমা দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পুনর্বাসনের আশ্বাস পাওয়ার পর রাঙ্গামাটি লংগদুর তিনটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীরা ধীরে ধীরে বসত ভিটায় ফিরতে শুরু করেছে। তারা অস্থায়ী চালা ঘর তৈরী করে বসবাস শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে, ভাড়া বাসায় ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, লংগদুর স্থানীয় এক যুবলীগের নেতার মৃতদেহ পাওয়াকে কেন্দ্র করে সেটেলার বাঙালিদের কর্তৃক গত ২ জুন ৩টি পাহাড়ী গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পাহাড়ীদের অধিকাংশ বসত ভিটা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।