আন্তর্জাতিক

রাজীব গান্ধীর ছয় ঘাতককে মুক্তির আদেশ: কংগ্রেস বলছে, মেনে নেওয়া যায় না

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আলোচিত হত্যা মামলায় সাজা পাওয়া ছয় আসামিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) আসামিদের মুক্তির এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডে।

যাদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- এস নলিনী, আরপি রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। তাদের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে তারা ২৩ বছর জেল খেটেছেন।  আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছে। গত মে মাসে এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরেক আসামি এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

সুপ্রিম কোর্ট তাদের সাজামুক্তির নির্দেশে বলেছে, জেলে থাকার সময়ে এই বন্দিদের আচরণ ‘সন্তোষজনক’ ছিল। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী

গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।

এদিকে ২০০০ সালে নলিনীর মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। ওই সময় নলিনী গর্ভবতী থাকায় সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমার আবেদনে তার সাজা কমানো হয়। এরপর ২০১৪ সালে, সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালানসহ অন্য তিন জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

এদিকে আসামিদের মুক্তি নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টি।
দলটির মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে বলেছেন, খুনিদের সুপ্রিম কোর্টের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। এটি পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।

 

Back to top button