রাঙ্গামাটিতে সড়ক খুলেছে, চলছে হালকা যান; স্বস্তি জনমনে
রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের শালবাগানে ধসে পড়া মুল সড়কটি বুধবার বেলা আড়াইটায় হালকা যান চলাচলের ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম বিভাগের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন সচিব এম এন কে ছিদ্দিকি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রহুল আমিন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার গোলাম ফারুক, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।
সড়কটিতে যান চলাচলের উপযোগী ঘোষণা দেয়ার পর তিনি তার গাড়িতে করে সংস্কার করা সড়ক দিয়ে রাঙামাটি শহরে চলে আসেন। এরপর পরই শুরু হয় যান চলাচল। এসময় যাত্রী ও চালকদের মুখে হাসি দেখা যায়। তারা বলেন, এতদিন মানুষ অবরুদ্ধ ছিল। সেই অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
সিএনজি চালক ফারুখ (৩০) বলেন, খুব ভাল লাগছে। এতদিন রাঙামাটি শহরের মধ্যে অবরুদ্ধ ছিলাম। এই অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পেলাম।
ফুরমোন পাড়ার জয়ধন চাকমা (৫২) বলেন, এতদিন খুব কষ্টে ছিলাম। বাজারে যেতে কষ্ট হত। পণ্য কাঁধে করে আনতে হত। এখন ভাল লাগছে। দিনরাত পরিশ্রম করে এই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাঙামাটি উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুছা বলেন, সড়ক জনপদ ও সেনাবাহিনীর দিনরাত কাজের মাধ্যমে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হয়েছে। মানুষের স্বস্তি দেখে আমাদের যে কষ্ট তা কষ্ট মনে না করে আনন্দ লাগছে। এতদিন মানুষের দুর্ভোগ তা শেষ হল। তবে এখানে শেষ নয় তাদের আরো অনেক কাজ বাকী আছে। এরপর অন্যান্য কাজগুলো শুরু করা হবে।
জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা। তা আমরা করতে পেরেছি। এই কাজ শেষ নয়। আরো অনেক কাজ করতে হবে। সড়কে ক্ষতির যে ব্যাপকতা তা সময় লাগবে।
সড়ক পরিবহন সচিব এম এন কে ছিদ্দিকি বলেন, এটি প্রাথমিক কাজ। এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর হালকা যান চলাচল করবে। ভারী যান আপাতত চলবে না। পাহাড় ধসে সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রাম- রাঙামাটি সড়কটি বেশি গুরুত্ব দেয়ায় অন্য কাজগুলো পড়েছিল। এখন এগুলোর কাজ শুরু হবে। সড়ক উন্নয়নে যা যা করণীয় তা করা হবে।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, সড়কে যেন ভারী যান চলাচল করতে না পারে সেজন্য ভাঙ্গা সড়কের দুই দিকে দুটি পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তারা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোর ও সকালে রাঙামাটি জেলা বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ৪ জন সেনাবাহিনীসহ ১১৮ জন নিহত হয়।
তথ্যসূত্রঃ মানবকন্ঠ