আঞ্চলিক সংবাদ

রাঙ্গামাটিতে প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিনা উস্কানিতে সেটলার কর্তৃক এক আদিবাসীকে মারধর

আজ সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকায় রাঙ্গামাটি সদরের বনরূপা চৌমুহনীতে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে বিনা উস্কানিতে সেটলার বাঙালি কর্তৃক প্রান্তর চাকমা নামে এক আদিবাসী জুম্মকে বেধড়ক মারধরের খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধভাবে বসতিস্থাপনকারী সেটলার বাঙালিদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এক সমাবেশ আয়োজন করে। এই সময় সকলের ন্যায় প্রান্তর চাকমা সমাবেশের ভিডিও করলে ভিডিও বন্ধ করার জন্য সেটলার বাঙালিরা নির্দেশ দেয়। এতে প্রান্তর চাকমা ভিডিও বন্ধ করে সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে চলে আসতে থাকে। কিন্তু উগ্র সেটলার বাঙালিরা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যে হঠাৎ তার উপর উপর্যুপরি হামলা শুরু করে। এসময় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে বনরূপার চৌমুহনীতে প্রান্তর চাকমাকে উপর্যুপরি শারিরীক আঘাত ও মারধর করা হয়। এই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার খবর পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী প্রান্তর চাকমা এরিস্টোফার্মা লি. কোম্পানির রাঙ্গামাটির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন বলে জানা যায়। এসময় প্রান্তর চাকমার কাছ থেকে তার সাথে থাকা মোবাইল, কোম্পানির মালামাল ও নগদ ৪৩ হাজার টাকাও সেটলার বাঙালি কর্তৃক জোরপূর্বক ছিনতাই করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সত্তর-আশির দশকে তৎকালীন সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের জনমিতি কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ডেমোগ্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় অবৈধভাবে সমতল থেকে পাহাড়ে সেটলারদের স্থানান্তরিত করা হয়। সেটলার বাঙালিদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত জুম্মদের উপর এক ডজনের উপর গণহত্যা সহ, সাম্প্রদায়িক হামলা, জোরপূর্বক ভূমি দখল, ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্গনের অভিযোগ রয়েছে। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন কার্যকর না করার কারনে পাহাড়ে সেটলারদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন।

Back to top button