রাঙামাটিতে আদিবাসী স্কুলছাত্রী যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত বহিরাগত বাঙালি আটক

গত ১২ মে ২০২৫ রাঙ্গামাটি জেলা শহরে মো: রাশেদ (৩৬) নামের এক বহিরাগত বাঙালি যুবক কর্তৃক দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক চাকমা আদিবাসী স্কুল ছাত্রী (১৫) যৌন নিপীড়নের শিকারের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কর্তৃক একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে উত্তম-মধ্যম দিয়ে সাধারণ জনগণ পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
অভিযুক্ত মো: রাশেদ এর পিতার নাম- মৃত মো: আলী, মাতা-মৃত আছিয়া খাতুন এবং বাড়ি- চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার ২নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ি, বোলছড়ি গ্রামে। উল্লেখ্য, যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি ঘটে গত ১২ মে ২০২৫, সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি শহরের রাজবাড়ি এলাকায় সিএনজিতে। ঘটনার পরের দিন (১৩ মে) ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা রাঙ্গামাটির কোতোয়ালী থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালী থানায় উক্ত মামলার নম্বর-০৭, তারিখ-১৩-০৫-২০২৫, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১০। ভুক্তভোগীর পিতার দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী রাঙ্গামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি রাঙ্গামাটি পৌরসভার আসামবস্তী এলাকায়। গত ১২ মে, সে তার দুই বান্ধবীর সাথে রাজবাড়ির রাজবন বিহার এলাকায় যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭:২০ টায় কে কে রায় সড়ক থেকে তবলছড়ি হয়ে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য সে সিএনজিতে উঠে। একই সময়ে অভিযুক্ত মো: রাশেদও সিএনজিতে উঠে ছাত্রীর পাশে বসে। সন্ধ্যা ৭:২৫টার দিকে সিএনজিটি রাজবাড়ি এলাকার পিবির ভাত ঘরের সামনে পৌঁছলেই মো: রাশেদ ছাত্রীর গায়ে হাত দেয় এবং জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রীটি ভয়ে চিৎকার করে সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে বাইরে পড়ে যায়। অতপর সিএনজি চালক মো: আব্দুর রহমান তৎক্ষণাৎ সিএনজি থামিয়ে মো: রাশেদকে মারধর করলে, আশেপাশের লোকজনও এগিয়ে এসে মো: রাশেদকে মারধর এবং আটক করে। পরে জনগণ আটককৃত মো: রাশেদকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
উক্ত ঘটনায় জনগণ কর্তৃক যৌন নিপীড়নকারী মো: রাশেদকে মারধর করার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেটলার বাঙালিদের একটি গোষ্ঠী অভিযুক্তের পক্ষাবলম্বন করে বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। এতে রাঙ্গামাটি শহরে কিছু সময়ের জন্য সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।