জাতীয়

মনোরঞ্জন হাজং’কে গাড়িচাপা দেওয়া এবং ওসি’র কারসাজীর ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) কারসাজির অভিযোগ উঠেছিল বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি-তদন্ত) বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছেন।

একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিন্নাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। রিট আবেদনকারীর প্রধান কৌঁসুলি জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্ঘটনার ১৪ দিন পর ৩ “অজ্ঞাত ব্যক্তির” বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। অথচ পুলিশ অভিযুক্ত কে তা জানত। এই কারসাজির অভিযোগ আনা হয়েছে ওসি আলমগীর গাজীর বিরুদ্ধে।’

রুলে এফআইআরে কারসাজির অভিযোগে বনানী থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর গাজীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

ওসি আলমগীর গাজীকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও সহকারী কমিশনার (সংশ্লিষ্ট) এবং ওসি আলমগীর গাজীকে রুলের বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি আলমগীর গাজীর বিরুদ্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে মনোরঞ্জন হাজংয়ের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় হাজং এ রিট আবেদন করেছিলেন। গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় একটি পা হারান মনোরঞ্জন হাজং। হাইকোর্টের বিচারপতির ছেলে সাইফ হাসান গাড়িটি চালাতেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকায় ইউটার্নে একটি দ্রুতগতির বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় আহত হন মনোরঞ্জন হাজং।পরে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়। এখনো মনোরঞ্জন হাজং একপ্রকার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালের বেডে শুয়ে। সেই মনোরঞ্জন হাজং এর বিরুদ্ধে অভিযুক্ত বিচার পতি’র ছেলেই আবার জিডি করেছেন। আর মনোরঞ্জন হাজং এর মেয়ে পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজং পুলিশ এর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মামলা নেয়নি পুলিশ৷ পরে ১৫ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ। বনানী থানা পুলিশ মহুয়া হাজংয়ের মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করলেও আসামিদের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হিসেবে দেখান। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ দেখান বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা।

Back to top button