শিল্প ও সংস্কৃতি

মধুপুরের মমিনপুরে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আ’বিমা ফেস্টিভ্যাল-২০২৩

আগামীকাল ১৩ই অক্টোবর (শুক্রবার) মধুপুরের মমিনপুরে ​​দিনব্যাপী উদযাপিত হতে যাচ্ছে আ’বিমা ফেস্টিভ্যাল-২০২৩। ফেস্টিভ্যালটির মূল সুর বরাবরের মতই “শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেলবন্ধন”।

গারো আদিবাসীদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং নিজ সংস্কৃতির প্রতি যত্নশীল ও সংস্কৃতি-সচেতন প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আয়োজন ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর করে আসছে ফেস্টিভ্যাল কমিটি।

ফাইল ছবি
আ’বিমা ফেস্টিভ্যাল-২০২৩ এর সভাপতি প্রলয় নকরেকের কাছ থেকে ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আ’বিমা ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্যর বিশালতা রয়েছে, যেমন আমাদের এলাকায় অনেক তরুণ রয়েছে যারা আমাদের নিজস্ব যে বাদ্যযন্ত্র ‘দামা’ সেটা বাজাতে পারেনা। আমরা দুই সপ্তাহব্যাপি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি এবং তারা এখন চমৎকার তালে দামা বাজাতে সক্ষম। শেকড়ের সাথে যে এই সুন্দর মেলবন্ধন ঘটলো এটি আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের আ’বিমা ফেস্টিভ্যাল কমিটি থেকে একটি উদ্যাগ ও প্রস্তাবনা নিয়েছি মধুপুরের আদিবাসীদের জন্য একটি অডিটোরিয়াম বানানোর, যেখানে তরুণেরা সংস্কৃতি চর্চা করতে পারবে। এটি সরকারি ভাবেও হতে পারে অথবা আমাদের সুশীল সমাজ এবং আপামর সমাজের অংশগ্রহণেও হতে পারে। এটি আমাদের চলমান কার্যপরিকল্পনার অংশ।”

আ’বিমা ফেস্টিভ্যালের সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল আরও জানান, “আমিই প্রথম সবার সাথে কথা বলি এই আয়োজন এবং এর তাৎপর্য নিয়ে। এর ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালে আমার বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাঙ্গালিয়াতে প্রথমবারের মত এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করি, যার মূলসুর ছিল The Synergy Of Generations In Finding The Roots অর্থাৎ শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেলবন্ধন। সেই আয়োজনে আমাদের আ’বিমা এর ৪৯টা গ্রামের সকলেই কোন না কোনভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।”

ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে তিনি আরও চমকপ্রদ তথ্য দেন, এই ফেস্টিভ্যালটি একটি ট্যুর ফেস্টিভ্যাল, এই ফেস্টিভ্যালটি কোন একক স্থানে প্রতিবার আয়োজিত হয় না। ২০১৯ সালে জাঙ্গালিয়াতে, ২০২২ সালে  সাইনামারিতে, এবার ২০২৩ সালে ফেস্টিভ্যালটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে মমিনপুরে। কভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ফেস্টিভ্যালটি আয়োজিত হয়নি। এই ফেস্টিভ্যালের সাত সদস্যের একটি মূল কমিটি থাকে, যে গ্রামে ফেস্টিভ্যালটির আয়োজন হয়ে থাকে সে গ্রামে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয়দের অংশগ্রণ নিশ্চিত হয়। এছাড়াও গ্রামের নকমাদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা হয়।

ফাইল ছবি
ফেস্টিভ্যালটিতে দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে অংশগ্রনকারী প্রত্যেকটি ব্যান্ডই মান্দি আদিবাসী ব্যান্ড। যে চারটি ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করবে সে ব্যান্ডগুলো হলো  দি আ’চিক ব্লুজ, ব্রিং, ব্লিডিং ফর সার্ভাইভ্যাল এবং দ্য রাবুগা।

Back to top button