মতেন্দ্র মানখিন পেলেন ‘একান্নবর্তী-রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা’

বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক মতেন্দ্র মানখিন এবার পেয়েছেন ‘একান্নবর্তী-রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা ২০২৫’। শিল্প-সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
শনিবার (১৭ মে, ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আয়োজনে তাঁর হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘একান্নবর্তী’। সভাপতিত্ব করেন এর সম্পাদক শেলী সেনগুপ্তা। অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ।
সম্মাননা গ্রহণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় মতেন্দ্র মানখিন লেখেন,
‘আজ আমি আপনাদের ভালোবাসার বন্যায় ভাসছি। আপনারা আমাকে অনেক দিয়েছেন, বিনিময়ে আমি যা দিয়েছি তা খুবই সামান্য। প্রার্থনা করবেন আপনাদের এই ভালোবাসাকে সম্বল করেই আমি যেন বাকিটা পথ অতিক্রম করতে পারি। বড় কিছু না হোক, যেন ভালো কিছু করতে পারি। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাই। ধন্যবাদ।’

অনুষ্ঠানে আরও সম্মাননা পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক হাসান অরিন্দম, চলচ্চিত্র পরিচালক অপরাজিতা সঙ্গীতা এবং (মরণোত্তর) শিশুসাহিত্যিক রাইদাহ গালিবা কুইন।
আয়োজনে একটি স্মরণিকা প্রকাশ ও পরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলসহ অন্যান্য শিল্পীরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রবীর পাল।
রণজিৎ কুমার বিশ্বাসের স্মৃতিচারণে বক্তারা বলেন, তিনি ছিলেন একাধারে কবি, লেখক, প্রশাসক এবং একজন মেধাবী ও রুচিশীল মানুষ। ক্রিকেট বিষয়ে তাঁর লেখালেখি ছিল জনপ্রিয়, প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বইও।
মতেন্দ্র মানখিনের এই সম্মাননা প্রাপ্তি তাঁর দীর্ঘ সাহিত্যজীবনের এক অনন্য মূল্যায়ন।