বিশ্বাস ছিল আমি পারবোই: জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিশুশিল্পী প্রজ্ঞা চাকমা
গত ২৯ জানুয়ারি (রোববার) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ ও ২০২১ এর বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সে অনুষ্ঠানে রাঙামাটির মেয়ে প্রজ্ঞা চাকমাও ছিলেন। অত্যন্ত প্রতিভাবান প্রজ্ঞা জাতীয় শিশু পুরষ্কার- ২০২১ জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক বিভাগে বিজয়ী হন। আইপিনিউজের সাথে একান্ত আলাপনে তিনি জানিয়েছেন এ প্রতিযোগীতায় তার বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি এবং একই সাথে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক বিভাগে ১ম হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে প্রজ্ঞা চাকমা জানান, “জাতীয় শিশু পুরস্কার-২০২১ জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক গানে ১ম হওয়ার অনুভূতিটা আসলেই অনেক আনন্দদায়ক। বিগত কয়েক বছর ধরে এই জাতীয় পুরস্কারটার জন্য অনেক অপেক্ষায় ছিলাম। স্বপ্ন ছিল জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতায় ১ম হওয়া। বহুদিনের এই স্বপ্নটাকে পূরণ করতে পেরে আমি খুব খুশি।”
এর আগেও অবশ্য ২০১৯ সালের আন্তঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক বিভাগে ১ম হয়েছিলেন তিনি।
প্রতিযোগীতার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? উত্তরে প্রজ্ঞা জানালেন, ‘প্রথমে উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে, জেলা থেকে বিভাগ পর্যায়, তারপর বিভাগ থেকে জাতীয় পর্যায়। এভাবে কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়েছে। তবে হাজার হাজার প্রতিযোগীর সাথে প্রতিযোগীতা করার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। মনে কিছুটা ভয় ছিল, তবে আমার বিশ্বাস ছিল, আমি পারবোই।’
নিজের পড়াশোনা নিয়ে বললেন, ‘তিনি রাঙ্গামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন।’
কিরণজিৎ চাকমা ও মিতালি চাকমার মেয়ে প্রজ্ঞা বললেন, তিনি পরিবারের সবার কাছ থেকেই গান শেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। সেই সাথে জানালেন, গান শেখা নিয়ে সবাই তাকে অনেক সাপোর্ট করছে।
প্রজ্ঞার জন্ম রাঙামাটিতে। ছেলেবেলায় গান শেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন মা-বাবা। তার গান শেখার শুরু মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। ফেসবুকে প্রায়শই তার কণ্ঠে গাওয়া গান শেয়ার করেন। এছাড়াও রাঙামাটিতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গান করে থাকেন। দুইবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায় তাঁর কদর ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে।
বড় হয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রট হওয়ার ইচ্ছে প্রজ্ঞার। গান নিয়েও রয়েছে অনেক পরিকল্পনা। গান নিয়ে অনেক দূর যেতে চান। ভবিষ্যতে একজন বড় মাপের শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন তার।