বাম জোটের বানিজ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জ:
আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): তেলসহ নিত্যণ্যের দাম কমানো, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বাণিজ্যমন্ত্রীকে অপসারণ,সিন্ডিকেট-মজুতদারদের বিচার, সারাদেশে সার্বজনীন রেশনিং চালুর দাবিতে বামগণতান্ত্রিক জোট আজ ১৭ মে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যায়। মিছিল জিরো পয়েন্টহয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল জিরো পয়েন্টে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখেপড়ে। এ সময় পুলিশ বাম জোটের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জে বামজোটের অনেক নেতা-কর্মী আহত হন।
জাতীয় প্রেক্লাবের সামনে বাম জোটের সমন্বায়ক বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ,গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি(মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।সমাবেশ পরিচালনা করেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নজরুল ইসলাম।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন,বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ব্যবসায়ীরা কথা রাখেনি, অথচ ঈদের পর অফিস খোলার প্রথম দিনসরকার ব্যবসায়ীদের দেওয়া কথা রেখেছে। তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, তেল মজুত, ঠিকমত সরবরাহ ও নির্ধারিত দামে বিক্রি করার জন্যযেখানে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সেখানে দাম বাড়িয়ে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করছে।
নেতৃবৃন্দ ব্যর্থ বাণিজ্যমন্ত্রীর অপসারণ ও বর্তমান শাসনকে ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন’ আখ্যা দিয়ে দিয়ে এর অবসানে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিকল্প বাজার ব্যবস্থা ছাড়া ব্যবসায়ীদের সাথে অনুনয়-বিনয় করেনিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এজন্য দক্ষ ও দুর্নীতি মুক্তভাবে তেলসহ নিত্যপণ্য আমদানি, মজুত গড়ে তোলা এবং সারাদেশে সার্বজনীন রেশনিং ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালুর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়ে টিসিবি’র গাড়ি চালুর কথা বলে বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটার মধ্য দিয়ে সরকার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করলেন।
এছাড়া বাম নেতৃবৃন্দ দুর্নীতিমুক্তভাবে ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা অন্তত তিন কোটি, পণ্যেরসংখ্যা বাড়ানো ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছানোর দাবি জানান। সমাবেশে সরকারের দুঃশাসনের অবসানের আন্দোলনের সাথে বিদ্যমান সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম জোরদার করারও আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে জিরো পয়েন্টের মোড়ে পুলিশি বাধা ও লাঠিচার্জের পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যাপক আবদুস সাত্তার পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। সারাদেশে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।