জাতীয়
বাঙালি নির্মাণ শ্রমিক কর্তৃক ১২ বছর বয়সী বরকলের এক আদিবাসী শিশু ধর্ষনের শিকার

বাঙালি এক নির্মাণ শ্রমিক রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক আদিবাসী জুম্ম শিশুকে (১২) প্রলোভন দেখিয়ে রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত ৭ মার্চ ২০২৫, সকালের দিকে রিজার্ভ বাজারের ঢাকা বোর্ডিং-এ মো: আরিফ (২২) নামে ওই বাঙালি নির্মাণ শ্রমিক এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাড়ি বরকল উপজেলার ৩নং আইমাছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে বলে জানা গেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, মো: আরিফ নামের ওই শ্রমিক নির্মাণ কাজের সূত্রে মাঝেমধ্যে আইমাছড়ায় যাতায়াত করত। সেই সুযোগে ওই শিশুটির সাথে মো: আরিফের পরিচয়। ঐদিন সকালের দিকে মো: আরিফের প্রলোভনে ওই শিশুটি রিজার্ভ বাজারে আসে। পরে মো: আরিফ নেশাজাতীয় কিছু একটা দ্রব্য মিশ্রিত বিস্কুট খাইয়ে শিশুটিকে অবশ করে সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে ওই শিশুটিকে ঢাকা বোর্ডিং-এর ভেতরে নিয়ে যায়।
এসময় পলাশ চাকমা নামে এক তরুণ ঘটনাটি দেখতে পেয়ে একটা নির্দিষ্ট স্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। মেয়ে শিশুটি ক্লান্তশ্রান্ত অবস্থায় বিকাল ৩ টায় বোর্ডিং থেকে বের হয়। এরপর মো: আরিফ সহ দুইজন বাঙালি যুবক শিশুটিকে বরকলের লঞ্চে উঠিয়ে দেয় বলে জানা যায়।
পরে কয়েকজন পাহাড়ি শিশুটির পরিচয় জেনে ফেললে বরকলে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি অবহিত করেন।
এদিকে শিশুটি বরকলে পৌঁছার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে মেডিকেল অফিসার না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট শিশুটিকে রাঙ্গামাটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শিশুটিকে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে অজ্ঞাত কারণে শিশুটির অভিভাবকরা ভুক্তভোগী শিশুকে গোপনে আবার বরকলে বাড়িতে নিয়ে যান বলে জানা যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেটলার বাঙালিরা সাম্প্রদায়িক হামলা করতে পারে এই ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা না নিয়েই তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে চলে যান বলে একাধিক ব্যক্তি সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী একজন দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বরকলের ধর্ষিত শিশুটির মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টে ধর্ষন হওয়ার সত্যতার বিষয়টি আইপিনিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত এখনো মামলা হওয়ার খবর এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করার খবর পাওয়া যায় নি।