পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের বিকল্প নেই- ঊষাতন তালুকদার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম বন্দরস্থ পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি,সমাবেশ,কাউন্সিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঊষাতন তালুকদার এমপি এ কথা বলেন।
সংগ্রামের এক যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান মালার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব জিয়াউল হক সুমন। পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সভাপতি সুমন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনের সাংসদ শ্রী ঊষাতন তালুকদার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব এম এ লতিফ এর প্রতিনিধি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চট্টগ্রাম মহনগরের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য জনাব শেখ মো. ইছহাক মিয়া, ব্যারিস্টার কলেজের অধ্যক্ষ জনাব এহতেশামুল হক,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়কারী শরৎ জ্যোতি চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মংথেনহ্লা রাখাইন, ব্যারিস্টার কলেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বাদশা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা,পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সহ-সভাপতি পূর্ণ বিকাশ চাকমা, শান্তি রানী চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিশান তনচংগ্যা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, শহরে বাস করতে হলে অনেক খরচ লাগে। তাই মালিক পক্ষ যাতে শ্রমিকদের সুবিধা প্রদান করে তার জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করার জন্য তিনি জাতীয় সংসদে কথা বলবেন। তিনি পাহাড়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু খেতে না পাওয়ার কারণে আপনারা এখানে এসেছেন তা নয় পার্বত্য অঞ্চলে বিরাজমান সমস্যার কারনে আপনাদের এখানে আসতে হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন হয়েছে কিন্তু এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয় যেমন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে ক্ষমতায়ন, স্থানীয় প্রশাসন, জেলা পরিষদ ক্ষমতায়ন কোনটিই করা হয়নি।
উদ্বোধক জনাব জিয়াউল হক সুমন বলেন-আমি দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড়ী শ্রমিকদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও আমাদের মধ্যে এই সর্ম্পক বজায় থাকবে।
ব্যারিস্টার কলেজের অধ্যক্ষ জনাব এহতেশামুল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ তাদের অধিকার আদায় করেই নেবে। তারা সংগ্রাম করছে। তিনি আশা করেন সরকার চুক্তি করেছে এবং বাস্তবায়ন ও করবে।
বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে আমরা বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। চুক্তির মৌলিক বিষয় হুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। যত দিন পাহাড়ী মানুষের অস্তিত্ব থাকবে তত দিন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সংগ্রাম চলতে থাকবে।
বক্তারা আদিবাসী শ্রকিমসহ শ্রমজীবী মানুষের জীবনের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের লড়াই সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। সভা শেষে সুমন চাকমাকে সভাপতি, অনিল বিকাশ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক এবং দিশান তনচংগ্যাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।