পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এবং আমাদের চাওয়া: সুমন মারমা
মাথার উপরে খোলা আকাশ, রোদ, ঝর আর অন্ধকারময় নিশিই আমাদের জীবন যেখানে নেই কোন আবেগের স্থান। আমরা বর্তমান প্রজন্ম এতই সৌখিন হয়ে যাচ্ছি সবাই যে যার মত ব্যস্ত। কিন্তু একবার ভাবা উচিত আমি কি চাই। ১৯৭২ সালে ১১ এপ্রিল ডঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংবিধান রচিত হলো। দেশের সর্বোচ্চ আইন পেলাম আমরা। সেদিন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য বাকেরগঞ্জ-১৫ এর ডাঃ ক্ষীতিশ চন্দ্র এবং সিলেট-২ এর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এই দুজন ছিলেন সংবিধান প্রনয়ণ কমিটিতে। তারা দুজনে সংখ্যালঘু থেকে প্রতিনিধি। সেসময়ে আদিবাসীদের অস্বীকার করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, আমরা সবাই বাঙালী আখ্যা পেলাম। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে জাতীয় নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকেও এই কমিটিতে রাখা যেতে পারতো। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য, বর্ণবাদী চরিত্র আর উগ্রসাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকে সংবিধান প্রনয়ণ কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি। এ প্রকারের হলে তাহলে কিভাবে বুঝবো সংবিধান সবার জন্য রচিত হয়েছে। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হলেও আদতে দলীয় সরকারই সব কিছু নির্ধারণ করেন। দেশে আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত, জাতীয়তাবাদ হয়ে গেলো বাঙালীমনা, সমাজতন্ত্র দেখা যায় মানুষকে শোষণের মধ্য দিয়ে। ধর্মনিরপেক্ষতা সে তো এক অজুহাত। মন্দির ভেঙে দেয়া হচ্ছে, বুদ্ধ মূর্তি ভেঙে দেয়া হচ্ছে। যাক, সংবিধান আমাদের জন্য নয় অন্তত সেটা বলতে পারি। আমাদেরকে দেশের শাসনতন্ত্র থেকে দূরে রাখতেই এই বিমাতাসুলভ আচরণ। মানবাধিকারের প্রশ্নে সব কিছু তছনছ হয়ে গেলেও শেষ ভরসা এই সংবিধান। কিন্তু সেখানে আমাদের জায়গা হয়নি। তবে অনেকে গর্ব করে বলেন আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিচয় পেয়েছি। তারা সম্মানিতবোধ করেন। কিন্তু সংবিধানে স্থান না পাওয়া কত যে কষ্টের তা যারা অধিকারহারা মানুষ তারাই জানে। শ্রদ্ধেয় ডঃ কামাল হোসেন চাইলে তখন এম এন লারমাকে তাঁর সাথে রাখতে পারতেন। তারপরও সংসদে দাবি ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এম এন লারমা। কিন্তু কোন কাজ দেয়নি। সে ক্ষোভ থেকে শান্তি বাহিনী (জনগণের দেয়া আখ্যা) ফেঁপে উঠেছিল। ফুঁসে উঠেছিল পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম। সে ক্ষোভ কিছুটা কমলেও এখনও রয়ে গেছে। বার বার প্রত্যাখিত হওয়া ফল সর্বদা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
আমরা একটা সুন্দর সমাজ চেয়েছিলাম। দেশের শাসনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়েছিলাম। হতে দেয়া হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। কিন্তু উল্টোটা ঘটছে বর্তমান সময়ে। পার্বত্য চুক্তিতে জনসংহতি সমিতি সদস্যদের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা মওকুফ এবং পুনর্বাসন করার কথা বলা রয়েছে। কিন্তু এখন পুনরায় একের পর এক মামলা করা হচ্ছে জনসংহতি সমিতি সদস্যদের বিরুদ্ধে। শতাধিক মামলা রয়েছে জনসংহতি সমিতির রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেখানে ক্ষান্ত হয়নি সরকার। সংবিধানের দোহায় দিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের ধারার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ধারার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইন তথা ভূমি কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ সে আইনকে জীবিত আইন বলে রায় দিয়েছে এবং এখন বলবৎ রয়েছে। এত মামলা কেন? রাষ্ট্রসমূহে অপরাধ কাজ কমানোর জন্য সংশোধনের উদ্দেশে মামলা করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে অপরাধকে ঢাকতে গিয়ে আরেকটা অপরাধ সংঘটিত হয়।
রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ঠেগামুখ স্থল বন্দর, ধর্মান্তরকরন এবং পর্যটন জোন জুম্মদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বলে শিক্ষাবিরোধী মতামত নয়। আমরা আন্দাজ করতে পারি আমাদের ভবিষ্যত। সরকার সহিংসতা ছড়িয়ে বরাবরই আমাদের বিপরীতে অবস্থান করেন। আজকাল আন্দোলন করার ক্ষেত্রটাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চেহারা দিন দিন ফুটে উঠছে সরকারের। সাম্প্রদায়িক মনোভাব, উগ্রজাতীয়তাবাদ এবং সম্প্রসারণবাদ দিন দিন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। মৌলবাদ আমাদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। বর্তমান সময়ে বৌদ্ধ ধর্মেও মৌলবাদটা সুস্পষ্ট লক্ষ করা যায়। নারীর নিরাপত্তা, জুম্মদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠা পাক সেটাই আমাদের চাওয়া ছিল। কিন্তু সরকারের বর্ণবাদী আচরণ, উগ্রজাতীয়তাবাদ এবং সম্প্রসারণবাদ সে পথকে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোদ সরকার চায় না পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হোক। সরকারের গাফিলতিতে নতুন সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় সন্ত্রাস সংঘটিত হচ্ছে। প্রশাসনের সহায়তায় চাঁদাবাজী হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ সমাজে যত না পরিবেশের দোষে অপরাধ সংঘটিত হয় তার চেয়ে বেশি শাসকগোষ্ঠী অপরাধ কাজের জন্ম দিচ্ছে।
কোন একটি জাতিকে দমিয়ে রাখার জন্য নানা কৌশল আবিস্কার সে দেশের সরকার। ধনতান্ত্রিক এবং আধা ধনতান্ত্রিক দেশে অর্থকে পুঁজি করে শাসন কাজ চালানো হয়। ধর্মকে প্রবলভাবে ব্যবহার করতে দেখা যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ চিন্তা ভাবনায় পূর্বের তুলনায় বহুগুনে এগিয়েছে। সরকারের তালবাহানা বুঝা হয়ে গেছে তাদের। এদেশের সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ছক এঁকে এগোচ্ছে আর সেটা বেশিদিন ফলপ্রসু হবেও না। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন চায়। তার আগে কোন উন্নয়ন আমাদের জন্য নয়। যা হচ্ছে সবি সরকারের স্বার্থে। তিন পার্বত্য জেলায় তিন জন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রয়েছেন। একজন পার্বত্য মন্ত্রীও রয়েছেন। তিন সার্কেলের তিন জন চীফও আছেন। তাদের মধ্যে চাকমা সার্কেল চীফ বাদে বাকি সব কেউ ভূমিকা রাখছে না চুক্তি বাস্তবায়নে। সময় কাটাচ্ছেন মাত্র। কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে খেলা খেলছেন। পার্বত্য চুক্তিকে মানতে চান না অথচ সুবিধা নিতে প্রস্তুত। মনুষ্যত্বের বিবেক কতটুকু নিচে নামতে পারে তা তাদের চরিত্র থেকে বুঝা যায়। জেলা পরিষদ সমূহকে দলীয় অফিস বা কোষাগার বানিয়ে রেখেছেন তারা। সম্প্রতি জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অনেক কার্যক্রমে দলীয়করণ এবং দূর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শিক্ষা বৃত্তির কথা বলে কোটি কোটি টাকা দলীয় পকেটে ভরছেন তারা। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ জানেন না জেলা পরিষদের আইনে কি কি লেখা রয়েছে৷ তাদের ক্ষমতা এবং কার্যাবলি কি সেটাও জানেন না। জনগণের টাকা বসে বসে ভাগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছেন। তিন দশকের কাছাকাছি হলো নির্বাচন নেই পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহে। এতে করে বহু বিধিমালা আটকে আছে সরকারের খাতায়। তার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনও হচ্ছে না। পার্বত্য চুক্তি অনুসারে আঞ্চলিক সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠান হবে কিন্তু এই অঞ্চলের মূল শক্তি সেনাবাহিনী। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, আনসার ভিডিপি। এছাড়া নেভী ক্যাম্প তো রয়েছেই। দুখজনক হলেও সত্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা কেউ শান্তিতে নেই। অস্থায়ী ক্যাম্পসমূহ বেশির ভাগ প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং সেখানে নতুন করে বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন সংযুক্ত করা হয়েছে।
কোন মানুষ বিকাশের জন্য তার মানবাধিকারের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আপাতত সেটা আমাদের নেই। বাংলাদেশ যেখানে ২ বছর সেনা শাসন সহ্য করতে পারে না সেখানে আমরা জুম্মরা দীর্ঘ চার দশক যাবত সেনা শাসনে বন্দি রয়েছি। নিঃশ্বাস নেবার মতো জায়গা নেই আর আমাদের। চার দিকে ষড়যন্ত্র। এই রাষ্ট্র আমাদের জন্য নয়। সরকারই যেখানে ষড়যন্ত্রের চালক সেখানে বেঁচে থাকার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ উপায় খুঁজে বের করবে।
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়। তাহলে আমাদের যা করণীয় তাই করতে হবে।
সরকার নতুন নতুন ছক কষছে। আরাকান লিবারেশন আর্মিদের জনসংহতি সমতির বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। ইতোমধ্যে চাকমা নিধন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তারা। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে আসুন সে পথ পরিহার করে সামগ্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখি। তঞ্চঙ্গ্যাদের মধ্যে নতুন করে সরকারি দালাল সৃষ্টি হবার সময় তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীকে জাতিগত বিভাজন তৈরি করে দিতে সরকার প্রস্তুত। একজন মারমা কখনও স্বেচ্ছায় বাঙালী হতে পারে না। একজন ম্রো কখনও স্বেচ্ছায় মুসলমান হতে পারে না। কিন্তু বাধ্য করছে সরকার। সংবিধানের সেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাংলাদেশ সরকার কোনদিন আর পরিবর্তন আনতে পারবে না। সেখান থেকে স্পষ্ট যে, এই দেশ দিন দিন পূর্ণ ইসলামিক শাসন তন্ত্রের দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে অপরাপর জাতি এবং ধর্মাবলম্বীরা এদেশে থাকলে বাধ্যবাধকতায় স্বীকার করে বেঁচে থাকতে হবে।
আমাদের তরুণ সমাজকে গভীরে গিয়ে ভাবতে হবে। কি হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। আমরা কি মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই? নাকি উপনিবেশ স্বীকার করে থাকতে চাই। যদি উপনিবেশ স্বীকার করতে চাই তাহলে ধর্মান্তরিত হতে হবে আর বাঙালী জাতীয়তাবাদে নাম লেখাতে হবে। রাজনৈতিক অধিকার ব্যতীত কোন জাতিই টিকে থাকতে পারে না। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বাস্তবতা, সাংস্কৃতিক অধিকার অবশ্যই প্রয়োজন আমাদের। কিন্তু তা সহজ নয়। লড়াই করতে হবে। যুগে যুগে অনেক ইতিহাস রয়েছে যেখানে মানুষ উপনিবেশে থাকতে চায় না। মুক্তি চাই। দমিয়ে রেখে কোন জাতিকে রুখা যায় না বরং আরও বেশি শক্তি যোগানো হয়।
ভাববার সময় এসছে। তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে। অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এলাকায় এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে৷ যে হাত আমার বিরুদ্ধে মামলা দেবে সে হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাত আমাকে মারে সে গুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র উঁচায় সে হাত ভেঙে দিতে হবে। আমাদের বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। আর ঘরকুণো হয়ে থাকলে চলবে না। অধিক অধ্যয়ন করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকল প্রকার সাংগঠনিক শক্তি উজ্জীবিত করতে হবে। রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা এদেশ সেবায় নিয়োজিত হতে চাই। আমাদেরকে যারা বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চায় তাদের উচিত জবাব দিতে হবে। যে সকল জুম্ম আওয়ামী লীগ, বিএনপি করে তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান আসুন অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই।
উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনাম যে লড়াইটা করেছিল তাতে লাখ লাখ মানুষ জীবন প্রাণ ত্যাগ করেছেন। বর্তমান চীনও লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে নির্মিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশও লক্ষ শহীদের বিনিময়ে নির্মিত হয়েছে। সুতরাং, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কোন জাতিকে অপবাদ দিয়ে দমিয়ে রাখা যায়নি। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করে উদারতার পরিচয় দেবার। সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। আমার মতো অনেক তরুণ আজ অধিকার সচেতন হয়ে উঠছে। আমি জানি সরকার কি প্রকারের বঞ্চণা করছে আমাদের সাথে। আমি জানি সরকার কি প্রকারের অবরুদ্ধ করে রেখেছে আমাদের জীবনকে। সুতরাং, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে আমাদের অধিকার দেবার।
যুব সমাজের প্রতি আহ্বান রইল- আসুন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। জুম্মদের আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঝাঁপিয়ে পড়ি। সকল প্রকার প্রতিক্রয়াশীলতাকে প্রতিরোধ করি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং দালালিপনাকে প্রতিহত করি।
সবশেষ, সরকারের প্রতি আহ্বান- পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউনেস্কো কতৃক ‘হুপে বোয়ানী’* শান্তি পুরস্কারের অবদান ধূলিসাৎ হতে দেবেন না।
(*) তারকা চিহ্নিত-১৯৯৮ সালে এই পার্বত্য চুক্তির জন্যে ইউনেস্কো কতৃক শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। তিন দশকব্যাপী ক্ষমতায় থাকা আদিবাসী নেতা ও আইভরিকোস্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুপে বোয়ানী’র নামে এই পুরস্কারে ভূষিত হন শেখ হাসিনা।
…………………………………………….
সুমন মারমা, সহসভাপতি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ