পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসবের সময় ছুটির দাবিতে ঢাবি’র উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি

পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংক্রান, চাংক্রান, বিষু, বিহু, বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল ছুটির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবারের সাংস্কৃতিক সংগঠন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা আইপি নিউজকে জানান, বাংলা নববর্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির তালিকায় রাখা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জুম্মদের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংক্রান, চাংক্রান, বিঝু, বিষু, বিহু, সাংগ্রাই ও বৈসুর জন্য কোনো ছুটি রাখা হয় না। তারই প্রেক্ষিতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবিসমূহ জানানোর জন্য স্মারকলিপি আকারে প্রদান করেছি। আমরা ১২-১৬তারিখ পর্যন্ত মোট ৫দিন ছুটির জন্য আবেদন করি। তিনি আমাদেরকে ১-২ দিন ছুটি দেওয়ার জন্য আলোচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। আমাদেরকে ৫দিন ছুটি না দিলেও অন্তত ১২-১৬ তারিখ পর্যন্ত যেন কোনো ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা না রাখা হয় সেটির জোর দাবি জানিয়েছি আমরা। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন বলা হচ্ছে। কিন্তু সেটির যথার্থ বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। মেইনস্ট্রিম বাঙালি জনগোষ্ঠী যদি ঈদ-পূজা সহ বিভিন্ন উৎসবে টানা কয়েকদিন ছুটি পেয়ে থাকে, তাহলে পাহাড়ের আদিবাসীরা তাদের উৎসবের সময় কেন বন্ধ পাবে না? পাহাড়ের আদিবাসীরাও তাদের উৎসবের সময় পরিবার ও সমাজের সাথে সময় কাটাতে চায়। আমি বলব, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসবের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তত ৫দিনের ছুটির ব্যবস্থা না করাও আমাদের প্রতি একধরনের বৈষম্য।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষবরণকে উপলক্ষ করে সাংক্রান, চাংক্রান, বিষু, বিহু, বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু নামে বিভিন্ন সামাজিক উৎসব পালন হয়ে থাকে। এই উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব। সাধারনত এপ্রিলের ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী কয়েকদিন পর্যন্ত ক্রমাগত এ উৎসব উৎযাপিত হয়ে থাকে।