নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরি করার দাবিতে কর্মবিরতিতে সারাদেশের চা শ্রমিকেরা
নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরি করার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন সারাদেশের চা শ্রমিকেরা। ছোট বড় মিলিয়ে সারা দেশের ২৪১টি চা বাগানের চা শ্রমিকেরা আজ তৃতীয় দিনের মতো এই কর্মবিরতি চলছে। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সকল চা বাগানে একযোগে শান্তিপূর্ণ কর্ম বিরতি পালন করা হচ্ছে।
কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দ বলেন, “দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে ১২০ টাকা দৈনিক মজুরি হাস্যকর। আমরা দৈনিক ৩০০ টাকা হাজিরা দাবি করলেও মালিকপক্ষ ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করার কথা বলছে। যা রীতিমতো আমাদের সাথে তামাশার সামিল।”
বক্তারা আরো বলেন, “মজুরি বোর্ডের কাছে তাদের প্রস্তাব দৈনিক মুজুরী ৩০০টাকা নুন্যতম করতে হবে। তা না করা হলে আমরা কর্মবিরতির পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মাথিউরা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রীম গৌড় জানান, সকাল ৯ টার দিকে মাথিউরা চা-বাগানের ম্যানেজার বাংলোর পাশে রাবার ডেমের সামনের মাঠে ৫’শ শ্রমিক জড়ো হয়ে মানব বন্ধন ও কর্ম বিরতি কর্মসূচী পালন করেছেন।
এদিকে মাথিউড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ইবাদুল হক বলেন, “লেবার হাউজের সাথে চুক্তি মোতাবেক মালিক পক্ষ দাবি পূরণ করে যাচ্ছে। তারা বে-আইনি ভাবে কর্ম বিরতি ও মানববন্ধন পালন করেছে। বিগত ২২ মার্চ শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় ডেপুটি ডিরেক্টর নাহিদুল ইসলামসহ দাবী দাওয়া নিয়ে সমোঝতা হয়েছে অযৌক্তিক কোন দাবী বাস্তবায়ন করা যাবে না।”
সরেজমিনে সোনারুপা চা বাগানের ডিভিশন পুচি চা বাগান গিয়ে দেখা যায়, সেখানের প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক বাগানে কাজ রেখে রাস্তার পাশে বসে কর্ম বিরতি পালন করছেন।
বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মতি রুদ্রপাল বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে ৩০০ টাকা মজুরীর জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি, মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে না,মানুষ হিসেবে বেচেঁ থাকার জন্য আমাদের এ আন্দোলন। ১২০ টাকা থেকে ১৪ টাকা আমাদের হাজিরা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব আনা হয়েছিল, যা দিয়ে কোন শ্রমিকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাবো অসম্ভব।”