নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আদায়ে আগামীকাল সারাদেশে ঐক্য পরিষদের সমাবেশ:
আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে তা মেনে নেয়ার জন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানায়। এরই প্রেক্ষিতে প্রায় সবকটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল পৃথক পৃথকভাবে তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে কোন কোন দাবি মেনে নেয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে জাতীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দাবি ছাড়া বাদবাকি অন্যসব দাবি মেনে নেয় এবং এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করবে; জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করবে; অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। কিন্ত এ পর্যন্ত এসব দাবি পূরণে সরকারের কোন উদ্যোগ প্রত্যক্ষভাবে দৃশ্যমান না হওয়ায় ঐক্য পরিষদ ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের অপরাপর সংগঠনসমূহের সমন্বিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এর প্রাথমিক পর্যায়ে চলতি বছরের ২৪ মার্চ ঢাকার শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে প্রায় ২.৫ (আড়াই) লক্ষ লোকের গণস্বাক্ষরসম্বলিত এক স্মারকলিপি নিয়ে পদযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার কালে এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলটির গতিরোধ করে এবং ৭ (সাত) জন সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেলে সেখানে তারা গণস্বাক্ষরসম্বলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ তা গ্রহণ করেন।
এরই মধ্যে প্রায় ৯০ দিন অতিক্রান্ত হবার পরেও তা বাস্তবায়নে কোন উদ্যোগ দেখা না যাওয়ায় কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামীকাল ১৬ জুলাই, ২০২২ শনিবার বিকেল ৪টায় সারাদেশে একই দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল(১৪ জুলাই) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরিত উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রাজধানী ঢাকায় জাতীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচী পালিত হবে।
এর পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমিকভাবে দাবি আদায়ে চলতি বছরে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন, রোডমার্চ ছাড়াও পরবর্তী বছরের (২০২৩ সালের) ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫ (পাঁচ) লক্ষ লোকের মহাসমাবেশের আয়োজন ছাড়াও সারাদেশে আমরণ অনশনের কর্মসূচি ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সংগঠনটি।