
আইপিনিউজ ডেস্কঃ চলতি ২০২৪-২৫ সালের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে দিনাজপুর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে আদিবাসী কোটায় জান্নাতুন ফেরদৌস নামের এক বাঙ্গালী শিক্ষার্থীর নাম আসায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে আদিবাসীরা। এছাড়া নুসরাত জাহান নামের আরেক বাঙ্গালী শিক্ষার্থীর নামও আদিবাসী কোটায় লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। আদিবাসীদের অভিযোগ, এ দুজন ছাড়াও আরো অনেকেই আদিবাসী কোটায় ভর্তির সুযোগ নিচ্ছেন। আবার অনেক আদিবাসী শিক্ষার্থী পাশ করার পরেও কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাননি।
আদিবাসী অধিকার কর্মী এবং জাতীয় আদিবাসী পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মানিক সরেন তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, একেতো আদিবাসী কোটার সংখ্যা খুব সামান্য , তারউপর দেশের বৃত্তর বাঙ্গালিরাই যদি আদিবাসী হয়ে যায় তাহলে বাকি কিছু থাকে???
গতকাল ১৮ মে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে বলা হয়, “২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিগত ১৬ মে ২০২৫ অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হলো। অবশিষ্ট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাক্রম ও কোটার ভিত্তিতে অপেক্ষমান তালিকা হিসেবে বিবেচনা করা হইবে”।
আদিবাসীদের প্রতিবাদের এ ঘটনার সত্যতা জানতে শিক্ষার্থীর রোল নাম্বার দিয়ে বিএনএমসির ওয়েবসাইটে সার্চ দিলে একই রেজাল্ট প্রদর্শিত হয়।
এতে দেখা যায় শিক্ষার্থীর নাম ও অন্যান্য তথ্য বাঙ্গালী হলেও ট্রাইবাল বা আদিবাসী কোটায় ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে দিনাজপুর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আইপিনিউজ থেকে বিএনএমসি তে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরা হয়নি।