নারী ফুটবলারদের উপর হামলার নিন্দা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা) সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যপক রোবায়েত ফেরদৌস ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ এক বিবৃতিতে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা ও চার জনের আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। গতকাল সোমবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মেয়েদের ফুটবল খেলাকে যারা পছন্দ করেনা তারা দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অগ্রযাত্রাকেও পছন্দ করেনা। নারী খেলোয়ারদের উপর অত্যাচার, আক্রমনের যে ঘটনা গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে বের হয়েছে তাতে বুঝতে বাকী নেই এই সকল আক্রমনকারীরা মূলত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীই নয় এরা মুক্ত চিন্তা ও প্রগতির বিরুদ্ধ শক্তির ইন্দনে- জঘন্য আক্রমনে লিপ্ত হয়েছে ,আমরা এদের মূল উপাটনের দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য খুলনায় নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার নারী ফুটবলার আহত হয়েছেন। গত শনিবার খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামে হামলার শিকার হন তারা। ভুক্তভোগীদের মধ্যে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামের মেয়ে সাদিয়া নাসরিন স্থানীয় ‘সুপার কুইন ফুটবল একাডেমি’ নামের একটি একাডেমিতে প্র্যাকটিস করেন। তিনি খুলনার অনূর্ধ্ব-১৭ দলের একজন ফুটবলারও।
সাদিয়া নাসরিন অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার একাডেমিতে প্র্যাকটিস করার সময়ে নুপুর খাতুন নামে একটি মেয়ে আমার ছবি তোলে। পরে আমার বাড়িতে বাবা-মাকে দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে মন্তব্য করে আসেন।
শনিবার বিকেলে তার কাছে আমি বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে, তিনি অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি এলোপাতাড়িভাবে আমাকে কিল, চড়, ঘুষি মেরে মুখ ও বুকের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এরপর আমি ঘটনার বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে আমার বাবা-মা এবং আমার ক্লাবের কোচ মুস্তাকুজ্জামান মুস্তাকসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের জানাই। তারা আমাকে সাথে নিয়ে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নুপুর খাতুনদের বাড়িতে যায়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বাড়ির আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন, নুর আলম, রঞ্জি বেগম ও মনোয়ারা বেগম মিলে আমাদের উপর হামলা করে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমার বান্ধবী মঙ্গলী বাগচী, হাজেরা খাতুন ও জুই মন্ডল আহত হন। তারা লোহার রড দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে এসে হত্যার হুমকি দেন বলে দাবি করেন তিনি। ইতিমধ্যে এ হামলার ঘটনায় নুর আলম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় তেতুলতলা এলাকার আজিজের ছেলে।


