
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং তিন সাঁওতাল হত্যার নবম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং তিন সাঁওতাল হত্যার নবম বার্ষিকী উপলক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, এ,এল,আর,ডি, এবং মানঝি পরিষদ যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশের শুরুতেই শহীদ সাঁওতাল আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে অধিকার ও দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিলসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।
ফিলিমন বাস্কে. সভাপতি, সাহেবগন্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশ এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ,এল,আর ডি নির্বাহী পরিচালক শামছুল হুদা। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, আদিবাসী-বাঙ্গালি সংহতি পরিষদ গাইবান্ধার আহবায়ক এ্যাড সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনুসহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তরা বলেন ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর মহিমাগঞ্জ সুগার মিল কর্তৃপক্ষ সাঁওতালদের উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন সাঁওতাল আহত হয়। তাদের মধ্যে তিন সাঁওতাল মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সাঁওতালদের ঘরবাড়ি। দীর্ঘ নয় বছর পেরিয়ে গেলেও সাঁওতাল হত্যার এখন পর্যন্ত বিচার হয়নি।
বক্তারা আরো বলেন, বাগদাফার্মের আদিবাসী ও বাঙালিদের বাপ-দাদার জমিতে সেখানকার ওয়ারিশগণের সাথে কোন ধরনের পূর্বাবহিত সম্মতি ছাড়াই ইপিজেড স্থাপনের ঘোষণা আদিবাসী-বাঙালি জনগণকে হতাশ করেছে। তারা অবিলম্বে তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড স্থাপনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে জেলার অন্যত্র করা, চাষাবাদরত সাঁওতাল-বাঙালিদের সেচ সুবিধার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, সমতলের আদিবাসীদের ভূমি সংকট নিরসনে পৃথক ও স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠনসহ সাত দফা বাস্তবায়নের দাবি করেন।


