জাতীয়

দুর্গাপুরে শ্মশান ঘাটের রাস্তা সংস্কার নিয়ে হামলা আহত ৬, অর্ধদিবস হরতাল

নেত্রকোনার দূর্গাপুর সাধুপাড়ায় অবস্থিত পৌর শ্মশানঘাটের ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার নিয়ে স্থানীয় সনাতন ধর্ম্মাবলম্বী স্বেচ্ছাসেবকদের উপর সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কামাল পাশা ও তাঁর লোকজনদের অতর্কিত হামলায় উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক আদিবাসী নেতা স্বপন হাজং সহ ৬জন আহত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার সাড়ে এগারোটায় উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্ম্মাবলম্বী স্বেচ্ছাসেবকগন স্থানীয় শ্মশানঘাটের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি সংস্কার করার সময় সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কামাল পাশা ও তাঁর লোকজন নেতৃবৃন্দ সহ সেচ্ছাসেবকদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালালে পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক আদিবাসী নেতা স্বপন হাজং সহ ৬জন গুরুতরভাবে আহত হয়। এ সময় পাশ্ববর্তী দুর্গামন্দিরে প্রবেশ করে পূজায় ব্যবহৃত বাসনপত্র ভাঙ্গচুর করার একপর্যায়ে স্বপন হাজং এর মাথায় দা দিয়ে এলোপাথারি কোপালে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে দুর্গাপুর পৌর শহরে এক প্রতিবাদ মিছিল বের হলে শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ করে দিনব্যাপি হরতালের ডাক দেয় উপজেলা পুজা উদযাপন নেতৃবৃন্দ।

উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, কামাল পাশা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত শহরে হরতাল সহ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ ব্যপারে দুর্গাপুর সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহ্ শিবলী সাদিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ অপ্রীতিকর ঘটনা কারোরই কাম্য নয়, আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ঘটনার পর মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ।

এ নিয়ে কামাল পাশার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব ছবি বিশ্বাস ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

Back to top button