জাতীয়

থানচিতে এক খেয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের বিবৃতি

আইপিনিউজ ডেস্ক (ঢাকা): বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় এক খেয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিবৃতি জানিয়েছে বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র, যুবসংগঠনসমূহ।

বিবৃতিতে তারা জানান, গত ৫ মে ২০২৫ খ্রি: বান্দরবানের থানচি উপজেলার ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মংখয় পাড়ায় (খিয়াং পাড়া) তিন সন্তানের জননী চিংমা খিয়াং (বয়স: ২৯ বছর ) নামের একজন জুম্ম নারীকে তিনজন বাঙালি শ্রমিক কর্তৃক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিংমা খিয়াং প্রতিদিনের মতো আনুমানিক সকাল ৭.০০ ঘটিকায় নিজেদের জুমে একা কাজ করতে যান। দুপুরে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় হলে তিনি না ফিরলে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী খোঁজাখুজি শুরু করেন। এসময় তারা জুমে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পান। তা অনুসরণ করে খুঁজতে খুঁজতে আনুমানিক বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় চিংমা খিয়াং এর লাশ পাওয়া যায়। চিংমা খিয়াং গত ৪ মে ২০২৫ তারিখে জুমে যাওয়ার পথে রাস্তা নির্মাণে কাজে নিয়োজিত তিনজন বাঙালি শ্রমিককে দেখতে পেয়ে ভয়ে বাড়িতে পালিয়ে আসেন। পরিবার ও গ্রামবাসীর সুত্রমতে, চিংমা খিয়াং জুমে যাওয়ার পথে ঔৎপেতে থাকা তিনজন বাঙালি শ্রমিক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়নের বিবৃতি

 

বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের বিবৃতি

সংগঠনসমূহ সারা সারাদেশে আদিবাসী নারীর উপর চলমান নিপীড়ন, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, হত্যাসহ মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এ সকল ঘটনাগুলোর কোনরূপ সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে এ ধরণের ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। সংগঠনগুলো নারীর নিপীড়ন, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, হত্যাসহ সকল প্রকার নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং দোষীদের যথাযথ বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের বিবৃতি

Back to top button