জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আজ ৬ নভেম্বর, ২০২৪, বুধবার, দুপুর ১২টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের হল রুমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সমতলের আদিবাসীদের প্রত্যাশা ও ৬ নভেম্বর ২০১৬ গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্মে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার ও পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে “সংবাদ সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম লিখিত বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি সন্তোষ সিং বাবু, বগুড়া জেলার সাবেক সভাপতি যোগেশ সিং, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনিল গজাড়, সাধারণ সম্পাদক শীত কুমার উরাও, বগুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার সিং প্রমূখ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলন থেকে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ৮ দফা দাবিনামা উত্থাপন করে। দাবি সমূহ হচ্ছে: আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে; সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমতল তথা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে; গাইবান্দা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের ১৮৪২.৩০ একর সম্পত্তি প্রকৃত জমি মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড স্থাপনের পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে; এবং গত ৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, সেই সাথে আদিবাসীদের ওপর থেকে সকল প্রকার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; দিনাজপুর ও নওগাঁয় প্রতিষ্ঠিত আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমীতে দ্রুত জনবল নিয়োগ করতে হবে এবং রাজশাহী বিভাগীয় আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমীর উপ-পরিচালক পদে আদিবাসীদের মধ্য থেকে নিয়োগ করতে হবে; আদিবাসীদের উপর চলমান অত্যাচার, হুমকি, ঘরবাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণ, মিথ্যা মামলা, ভূমি দখল বন্ধ প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ও আদিবাসী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে; আদিবাসী ছাত্র-যুবদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ আদিবাসীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেনীসহ সকল সরকারি চাকুরিতে ৫% কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে; সকল আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কমপক্ষে একজন করে আদিবাসী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।