জাতীয়

খাগড়াছড়িতে ১৪ বছরের ত্রিপুরা কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সিপিবি’র তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র সভাপতি মো. শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ১৭ জুলাই ২০২৫, এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি জেলার ভাইবোনছড়ায় ১৪ বছর বয়সী এক ত্রিপুরা কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “এই বর্বর গণধর্ষণের ঘটনা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বরং সমগ্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির ইঙ্গিত দেয়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভয়াবহ মানসিক আঘাতের কারণে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল — যার পরেই এই জঘন্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৭ জুন, রথযাত্রার মেলা শেষে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপনরত অবস্থায় ছয়জন ব্যক্তি গভীর রাতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় তার আত্মীয়কেও বেঁধে রাখা হয়। এখন পর্যন্ত চারজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ” আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।এ দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। সারাদেশেই ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা ও সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোর ওপর নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ধর্ষণ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অঞ্চলকে একটি সামরিক নিয়ন্ত্রিত নিপীড়নের এলাকায় পরিণত করা হয়েছে।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “পূর্ববর্তী বহু ঘটনায় যেমনটি দেখা গেছে, ধর্ষকদের রক্ষা করা হয়েছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, বিচার হয়নি। আজও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদরত স্থানীয় জনগণের ওপর দমন নেমে এসেছে — সামরিক বাহিনী আন্দোলনে বাধা দিয়েছে এবং দুইজন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাঁদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, খাগড়াছড়ির এই গণধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত সকল ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।সারাদেশে নারী ও সংখ্যালঘু জাতিসত্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং জনগণের মতপ্রকাশ ও প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।

Back to top button