অন্যান্য

কলেজছাত্রী ইতি চাকমা খুনের আসামি গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ির মেধাবি কলেজছাত্রী ইতি চাকমা খুনের প্রধান আসামি তুষার চাকমাকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে সোমবার বিকালে খাগড়াছড়ির জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে তোলার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার বিকালে তাকে জেলা সদরের চেঙ্গীস্কোয়ার এলাকা হতে আটক করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আব্দুর রকিব, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান ও উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। তুষার চাকমা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র। সে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ির বাসিন্দা সুনীল চাকমার ছেলে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জেলা শহরের আরামবাগ এলাকায় ভগ্নিপতি অটল চাকমার ভাড়া বাসায় খুন হয় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী ইতি চাকমা। এ ঘটনায় নিহত ইতি চাকমার বড় বোন জোনাকি চাকমা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডেরে রহস্য উদঘাটন সহযোগিতা করে চট্টগ্রাম সিআইডি।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো. আব্দুল হান্নান জানান, প্রেমঘটিত কারণে ইতি চাকমাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে তুষার চাকমাসহ ৫ জন অংশ নিয়েছিল। জনৈক রনি চাকমা হত্যাকাণ্ডের জন্যে প্ররোচিত করে বলেও স্বীকার করেছে তুষার চাকমা। ঘটনায় জড়িত ৫ জনের মধ্যে রনি ও তুষারসহ ৩ জন সরাসরি খুনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও ২ জন বাইরে প্রহরার দায়িত্ব পালন করে। এমনকি ঘটনা অন্যখাতে প্রবাহিত করতে তুষার চাকমা নিজেই বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ জানিয়েছেন, অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

Back to top button