সাক্ষাৎকার

এম এন লারমা’র বহুত্ববাদী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনো অব্যাহত আছেঃ সুলতানা কামাল

১০ নভেম্বর ২০২৩, পার্বত্য চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, শ্রমজীবি মানুষের বন্ধু ও শোষিত গণমানুষের কন্ঠস্বর, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। বহুভাষা, সংস্কৃতি ও জাতির প্রতিনিধিত্বশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যে আমৃত্যু লড়েছেন এই নেতা। ১৯৭২ ও ৭৩ সালে তৎকালীন গণপরিষদ ও সংসদে তাঁর ভাবনাগুলো তুলে ধরেছিলেন আইন প্রণেতাদের সভায়। সাবেক সাংসদ ও বিপ্লবী এ মহান নেতার জীবন, সংগ্রাম ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ নিয়ে বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালের সাথে একান্ত আলাপচারিতা যুক্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নীতি চাকমা। উক্ত আলাপচারিতাটি এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সভাপতি ও আদিবাসীদের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আইপিনিউজ এর বিশেষ প্রতিবেদক সুলভ চাকমা। উক্ত আলাপচারিতাটি ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র ৪০তম মৃত্যুবিার্ষিকী স্মরণ জাতীয় কমিটির’ উদ্যোগে প্রকাশিত স্মরণিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই সাক্ষাতকারটি আইপনিউজ এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:-

নীতি চাকমা: আসছে ১০ নভেম্বর মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ বিপ্লবী নেতার স্মরণে তাঁর জীবন ও সংগ্রাম সম্পর্কে আলাপচারিতায় যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সম্পর্কে কিছু বলবেন?

সুলতানা কামাল: তোমাকেও ধন্যবাদ। যেকোনো কারণেই হোক, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমার মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার জীবন ও সংগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হয়নি। তবে একটা সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তাঁর সম্পর্কে যত জেনেছি,ততই বিস্মিত হচ্ছি। এক্ষেত্রে নিজের সীমাবদ্ধতার জন্য কুণ্ঠাবোধ করছি। এ মহান মানুষটির ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। মানবেন্দ্র লারমার মতো কিছু মানুষ জন্মেছিলেন বলেই এখনো জাতিগত বা নৃতাত্তি¡কভাবে উপেক্ষিত, অবহেলিত মানুষদের অধিকার নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে আমরা অনুপ্রাণিত হই।

তাঁর জীবনী পড়ে জেনেছি, প্রথম জীবনে তিনি শিক্ষকতায় নিয়োজিত থাকলেও পরবর্তীসময়ে আইনজীবীর পেশা গ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি তাঁর আনুগত্যের প্রকাশ ঘটান। ১৯৬১ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের বিরোধীতার আন্দোলন গড়ে তোলেন। কাপ্তাই বাঁধ পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য কত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সেটা দেখতে পেলেও সেটা অদ‚রদর্শী নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিতে ধরা পড়েনি। আদিবাসী স¤প্রদায়ের সদস্য হওয়ার কারণে তখন থেকেই তাঁকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে এক অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। পাহাড়ি ছাত্র সমাজকে উদ্ধুদ্ধকরণকরণ ও নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগঠিত করায় তঁকে কারাবন্দিও হতে হয়েছে।

মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা

মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীরা স¤প্রদায়গতভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করলেও স্বাধীনতা উত্তরকালে বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবল দাপটে তাদের অধিকার, এমনকি তাদের পরিচয়ের স্বীকৃতির প্রশ্নটিও বারবার উপেক্ষিত হয়ে আসছে। নিজ যোগ্যতায় তিনি দুই-দুইবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সে অবস্থান থেকে তিনি অত্যন্ত জোরালোভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায়ের জন্য নিরলসভাবে লড়াই করে গেছেন। গড়ে তুলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে যখন তিনি বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে দেশের সকল নাগরিকের ওপর বাঙালি পরিচয় আরোপ করার ব্যাপারে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। সে কারণেও অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকেও তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে নানা কট‚ক্তি ও লাঞ্চনা। এসেছে নানান হুমকি। কিন্তু কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। তিনি এর পরেও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই পাহাড়িদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। কিন্তু পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর সঙ্গত কারনেই তাঁকে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। আজ পর্যন্ত আমরা যা জানি তা হলো- আত্মগোপনে থাকাকালীন তাঁরই কিছু বিপথগামী অনুসারীর বিশ্বাসঘাতকতায় তাঁকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। আজকে সেই ঘটনার চল্লিশ বছর পরে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

নীতি চাকমা:
আদিবাসীদের পৃথক জাতিস্বত্তা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য তাঁর যে নিরলস চেষ্টা ও সংগ্রাম ছিল, সেটির বর্তমান অবস্থা কিংবা তা বর্তমানেও অব্যাহত আছে কি না এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? এবং তরুণ সমাজে বিশেষ করে আদিবাসী তরুণদের মাঝে সে সংগ্রামী চেতনা ও প্রচেষ্টার বিষয়ে আপনার অভিমত জানতে চাই।

সুলতানা কামাল: আদিবাসীদের পৃথক জাতিস্বত্তা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যে সংগ্রাম মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা শুরু করে গিয়েছেন, সেটা অবশ্যই অব্যাহত আছে। তবে পঁচাত্তর থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত একটানা সামরিক জেনারেলদের ও বিএনপির শাসনামলে যে অত্যন্ত সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী নীতি গৃহীত হয় এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সমাজের সা¤প্রদায়িকীকরণ প্রক্রিয়া চালানো হয়, তাতে করে আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সকল স¤প্রদায়ের অধিকারসম‚হ সংকুচিত হতে থাকে। পার্বত্য চট্টগামের জন্য এ সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয় আর এক মাত্রা। রাষ্ট্র পাহাড়িদের বাসভ‚মিতে সমতলের অ-পাহাড়ী জনগণের অভিবাসনের নীতি গ্রহণ করে এবং তার ফলে পাহাড়িরা নিজ বাসভ‚মে তাদের ভ‚মি, সমাজ, সংস্কৃতি সব কিছুর অধিকার থেকে বিচ্যুত হতে থাকেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে সামরিকায়ণের স‚চনা হয় তা অভ‚তপ‚র্ব। রাষ্ট্রের সঙ্গে পাহাড়ি আদিবাসীদের সম্পর্ক সংঘাতময় হয়ে ওঠে। এক সময় পাহাড়িরা সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হন। এ সবই ইতিহাসে গ্রন্থিত তথ্য।

রক্তক্ষয়ী কিছু সময় অতিক্রম করে ১৯৯৭ সালে এক ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে এ যুদ্ধের অবসান ঘটে। সঙ্গত কারণেই পাহাড়ি জনগোষ্ঠী তাদের পৃথক জাতিস্বত্তা হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি চুক্তির আলোকে সমাধান হওয়ার ওপর ছেড়ে দেন। দুঃখের বিষয় হলো, আজকে ২৬ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো ঊল্লেখযোগ্য কার্যকর অগ্রগতি ঘটেনি। বরং চুক্তির নীতির বিপরীতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। তার ওপর পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ অবস্থান নির্দেশ করা ১৯০০ সালের আইনটিকেও বাতিল করার সরকারি উদ্যোগ বিরাট অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। এর মাঝে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পৃথক জাতিস্বত্তা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আন্দোলন নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। নানারকম রাষ্ট্রীয়, রাষ্ট্র বহির্ভ‚ত শক্তির বিদ্বেষ ও বৈরিতার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। এর পরেও দেখতে পাই পাহাড়ি তরুণেরা তাদের সংগ্রামী চেতনা ও প্রচেষ্টা বজায় রাখার প্রাণপণ প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন।

নীতি চাকমা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্যাঞ্চলে ভ‚মি সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করা হয়েছে। একইভাবে দেশের সমতল অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বসবাসরত আদিবাসীরাও দীর্ঘদিন ধরে তাদের ন্যায্য ভ‚মি অধিকার সংরক্ষণের জন্য পৃথক ভ‚মি কমিশন গঠন করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

সুলতানা কামাল: হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী ভ‚মি কমিশনের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের ভ‚মি সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার করা হয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কোনো রকম অগ্রগতি না হওয়ার কথা এর আগেও বলেছি। চুক্তির অত্যন্ত কিছু গুরুত্বপ‚র্ণ বিষয়ের মতো ভ‚মি কমিশনকেও অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। ভ‚মি কমিশন গঠন করাই শেষ কথা নয়। কমিশন গঠন জরুরি, তবে কমিশনকে তার ক্ষমতা ও এখতিয়ার অনুযায়ী কাজ করতে দিতে হবে।

নীতি চাকমা:
আদিবাসীদের সঙ্গে বন-পাহাড়-প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্ক। কিন্তু আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে পর্যটন, ইকো পার্ক প্রভৃতির কারণে আদিবাসীরা ভ‚মি থেকে উচ্ছেদের শিকার হচ্ছেন। তাদের চিরায়ত ভ‚মির ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিরাজমান নানা সমস্যা সমাধানের উপায় কী?

সুলতানা কামাল: আদিবাসীদের নিজ ভ‚মি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার ম‚ল কারণ হচ্ছে কিছু আগ্রাসি অর্থপিপাসু, ভ‚মিলিপ্সু, নদী-বন দখলকারী অতিদ্রæত ধনী হওয়া বা হতে চাওয়া ব্যক্তির আদিবাসীদের ভ‚মি, প্রাকৃতিক সম্পদ, নয়নাভিরাম পরিবেশ ও প্রতিবেশে দখলের আকাঙ্খা। দুঃখজনকভাবে সরকার তাদের এ অন্যায্য প্রবণতাকে প্রশ্রয় দিয়ে তাদের নানা প্রকল্প সকল ন্যায়নীতি বিসর্জন দিয়ে অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে। আদিবাসী ভ‚মি ও পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের সংবিধান, নানা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তি এমনকি এসডিজিতে যে অঙ্গীকার করা আছে সবকিছু লঙ্ঘন করে এ সমস্ত অপকর্ম চলছে। এর সমাধানের একক কোনো উপায় নেই। সবার আগে আদিবাসীদের স্বতন্ত্র জাতিস্বত্তার স্বীকৃতি দিয়ে তাদের ভ‚মি, প্রকৃতি, পরিবেশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁদের অনুমতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর অন্যথায় হলে চলবে না।

নীতি চাকমা: বহুত্ববাদী বাংলাদেশ গঠনে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিতকরণকে অপরিহার্য বলে মনে করেন কি?

সুলতানা কামাল: বাংলাদেশ আদিকাল থেকে বহুত্ববাদী। এখানে হাজার বছর ধরে নানা জাতি, ধর্ম, পরিচয়ের মানুষ বাস করেছে নিজের পরিচয়ে, নিজের অধিকারে। যারা বাংলাদেশ নামক দেশটাতে বিশ্বাস করেন তারা এ কথা মানেন। আমাদের সংবিধানেও তেমনই বলা আছে। তবে নানা সংশোধনীর মাধ্যমে এবং প্রথমেই বহুত্ববাদী বাংলাদেশকে চিনে নিতে ব্যর্থতার কারণে সংবিধানে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। বহুত্ববাদী বাংলাদেশের চরিত্র ফিরিয়ে আনতে এ সমস্ত বিভ্রান্তিকর বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টিকারী ধারাসম‚হ বাতিল করতে হবে। আদিবাসীসহ বাংলাদেশের নানা পরিচয়ের, নানা ভাষাভাষি সকল নাগরিকের সম-অধিকার, সম-মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।

নীতি চাকমা:
আদিবাসী তরুণ সমাজের উদ্দেশে কিছু বলতে চান?

সুলতানা কামাল: আদিবাসী তরুণদের আমি অভিনন্দন জানাই। এত প্রতিক‚লতার মধ্যে দিয়েও তারা তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, সে জন্য তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তাঁদের বলতে চাই, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের সমস্যা আমাদের সকলের সমস্যা, জাতীয় সমস্যা। আপনাদের অধিকারহীনতা আমার দেশের মানুষের অধিকারহীনতা। তাই আপনাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আমরাও অংশীজন। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার প্রয়াণদিবসে আমি আপনাদের আন্দোলন সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।

নীতি চাকমা: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

সুলতানা কামাল:
তোমাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।

Back to top button