খেলাধুলাজাতীয়

একুশে পদক পেল সাফজয়ী মারিয়া-ঋতুপর্ণারা

খেলার মাঠে একের পর এক জয়ের পর এবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক পেল সাফজয়ী মারিয়া-ঋতুপর্ণারা। 

গতকাল আনুমানিক দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে  রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে দলের পক্ষে মর্যাদার এই পদক গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। পদক প্রদানের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিল সর্বশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাত থেকে একুশে পদক নিচ্ছেন উইমেন’স সাফ জয়ী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। ছবি: বাফুফে

গত বছর সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সাফজয়ী নারী ফুটবল দলে ছিল রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা।

একুশে পদক হাতে উইমেন’স সাফ জয়ী দলের সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। ছবিঃ ফেইসবুক
একুশে পদক হাতে সাফ-২০২৪ আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। ছবিঃ ফেইসবুক
একুশে পদক হাতে সাফে দুইবার সেরা গোলরক্ষক হওয়া রুপনা চাকমা।
একুশে পদক হাতে কোহাতি কিসকু।
একুশে পদক হাতে মনিকা চাকমা।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে আদিবাসী খেলোয়াড়দের অবদান অনস্বীকার্য। একুশে পদকপ্রাপ্ত সাফজয়ী নারী ফুটবল দলে আদিবাসী নারী ফুটবলাররা হলো মারিয়া মান্দা, ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমা, কোহাতি কিসকু, শিউলি আজিম ও মনিকা চাকমা।

একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রচলন করা হয়।

এর আগে কোনো ক্রীড়া দল একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবারই আবেদন করেছিল; কিন্তু তারা এখনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি।

Back to top button