তথ্য প্রযুক্তি

একটি অ্যাকাউন্টে ৫টি পর্যন্ত প্রোফাইল চালুর সুযোগ দেবে ফেসবুক

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানিয়েছে, একটি পরীক্ষার অংশ হিসেবে কিছু ব্যবহারকারীকে তারা একাধিক প্রোফাইল চালু রাখার সুযোগ দেবে।একটি প্রোফাইল থেকে একাধিক প্রোফাইলে স্থানান্তরের বিষয়টির মাধ্যমে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ফেসবুক।

ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মেটা প্লাটফর্মে টিকিয়ে রাখতে নতুন উপায় খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে টিকটিকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। সেখানে, তরুণ প্রজন্মকে ধরে রাখার লড়াইয়ে নেমেছে প্লাটফর্মটি।

২০২১ সালের শেষের দিকে কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হারাতে শুরু করে।

ফেসবুকের পরীক্ষাটির অংশ হিসেবে, কয়েকজন ব্যবহারকারী তাদের আসল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অতিরিক্ত ৪টি প্রোফাইল তৈরি করে সংযুক্ত করতে পারবেন। তবে, ব্যবহারকারীর একটি মূল অ্যাকাউন্টই থাকবে। কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে অন্যান্য প্রোফাইলগুলোতে স্যুইচ করতে পারবেন।

এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর আসল নামের বিষয়টি থাকবে ঐচ্ছিক। অর্থাৎ, যে ব্যবহারকারী অতিরিক্ত প্রোফাইল তৈরি করবেন, সে প্রোফাইলগুলোর ডিসপ্লে নামের জন্য আসল পরিচয় ব্যবহার না করলেও চলবে।

এই নতুন ফিচারের পেছনের যুক্তি হলো, ব্যবহারকারী অতিরিক্ত প্রোফাইলগুলো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন, একটি প্রোফাইল বন্ধুদের জন্য, একটি সহকর্মীদের জন্য এবং কোনোটি ইন্টারেস্ট গ্রুপ বা ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইত্যাদি।

তবে, প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র লিওনার্ড ল্যামের মতে, প্রোফাইলগুলো ফেসবুকের নীতির আওতায় পরিচালিত হবেক এবং কোনো প্রোফাইলে নীতি লঙ্ঘন হলে পুরো অ্যাকাউন্টটিতে তার প্রভাব পড়বে।

ল্যাম বলেন, ‘মানুষের আগ্রহ এবং সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে তাদের অভিজ্ঞতা তৈরি করতে আমরা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একাধিক প্রোফাইল সংযুক্ত করার বিষয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাচ্ছি। তবে, সব ধরনের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অবশ্যই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।’

ল্যাম বলেন, ‘যে সব ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত প্রোফাইল তৈরি করবেন, তাদের ডিসপ্লে নামের জন্য সঠিক পরিচয় ব্যবহার না করলেও চলবে।’

অন্যদিকে, ফেসবুকের নিয়ম হলো, ব্যবহারকারীদের মূল অ্যাকাউন্টে অবশ্যই তাদের সঠিক নাম ব্যবহার করতে হবে। এমনকি জার্মানিতে এর জন্য আইনি পদক্ষেপের ব্যবস্থাও রয়েছে, যার কারণে বিষয়টি বছরের পর বছর ধরে বিতর্কিত হয়ে আসছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ

Back to top button