আহত নিরঞ্জন কুজুরের পাশে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দরা: আসামীদের গ্রেফতারের দাবি
গতকাল ২০ আগস্ট রাত ৯ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত নিরঞ্জন কুজুর কে দেখতে যায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় ও রংপুর জেলার স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা। উক্ত সময় নিরঞ্জন কুজুরের চিকিৎসার ও মামলা বর্তমান খোজ খবর নেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান, রংপুর জেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক কৃষিবিদ বিমল খালকো, আহবায়ক কমিটির সদস্য মামুন তুরি ও আহত নিরঞ্জন কুজুরের স্ত্রী মামলার বাদী কাজলী বালা।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বড় পাহাড়পুর গ্রামের নিরঞ্জন কুজুরের উপর পুঙ্গত্ব এবং হত্যার উদ্দেশ্য যে হামলা করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ তদন্ত করে আসামীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই যে ন্যাক্কার জনক ঘটনা আসামীরা ঘটিয়েছে যে পাশবিক নির্যাতন করেছে তা মানবাধিকার চরমতম লঙ্ঘন করেছে। ভিকটিম নিরঞ্জন কুজুর রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে অর্থপেডিক ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলমান। নিরঞ্জন কুজুরের দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
আহত নিরঞ্জন কুজুরের স্ত্রী কাজলী বালা বাদী হয়ে গত ৮ আগস্ট ২০২২ পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন, মামলা নং ১৫/ ২৬২, তারিখ ৮ আগস্ট ২০২২।
উল্লেখ্য, আসামী বাবলু মিয়ার দেখা পাইয়া দিন মজুর নিরঞ্জন কুজুর তার কাজের পাওনা ৮৫০ টাকা চাওয়ার জন্য গত ৭ আগস্ট ২০২২ সকাল ১০ দিকে ধারালো ছোরা দ্বারা দুই পায়ের হাটুর নিচে গিরার উপরে মাঝখানে চোট মারিয়া কাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে আসামী লাবলু মিয়া ও জাপ্টাইয়া ধরিয়ে থাকে আসামী বাবলু মিয়া। আহত নিরঞ্জন কুজুর কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।