মতামত ও বিশ্লেষণ

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের প্রচারপত্র

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৭ সফল হোক
Women in the Changing World of Work: Planet 50-50 by 2030
নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ি
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করি
……………………………………………
৮ মার্চ ২০১৭ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারা জানেন যে, সমাজে শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে নারী সমাজের জাগরণ ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের গতিধারায় এবং বিশ্বব্যাপী নির্যাতন, নিপীড়ন, বঞ্চনা, বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার নারীর নিরাপত্তা, সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তথা নারী মুক্তি আন্দোলনসহ মানবসমাজের প্রগতির ক্ষেত্রে এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক একটি দিন। প্রতি বছর এই দিবসকে কেন্দ্র করে বিশ্বের নারীরা একযোগে বিশ্বব্যাপী তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া সকল প্রকার পারিবারিক, সামাজিক, লিঙ্গগত, জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় শোষণ, বৈষম্য, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও সহিংসতাকে তুলে ধরার প্রয়াস পান। পাশাপাশি এসমস্ত শোষণ, বৈষম্য, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং সকল প্রকার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত হন।
উল্লেখ্য যে, ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বিশ্বের সংগ্রামী ও সমাজতান্ত্রিক নারীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাব অনুসারেই ৮ মার্চ তারিখে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উদযাপনের সূত্রপাত ঘটে। মূলত ১৯০৮ সালে নিউইয়র্ক শহরে কাজের অমানবিক অবস্থা ও বৈষম্যমূলক মজুরীর প্রতিবাদে পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের স্মরণে এই দিবসটিকে বেছে নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিশ্বের দেশে দেশে অব্যাহতভাবে নারী সমাজের জাগরণ ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘও ৮ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৯৭৬ হতে ১৯৮৫ সময়কালকে নারী দশক হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে এই আন্তর্জাতিক নারী দিবস আরও ব্যাপকতা লাভ করে এবং বিশ্বব্যাপী নারী সমাজের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ ও গভীর অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে থাকে।
বলাবাহুল্য, ইতোমধ্যে নারীর অনেক জাগরণ, উল্লেখযোগ্য অর্জন ও অগ্রগতি সম্ভব হলেও এবং পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদার বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও বাস্তবে গুণগত ও সামগ্রিকভাবে বিশ্বের দেশে দেশে নারীরা এখনও শোষণ, বঞ্চনা, অবহেলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হয়ে চলেছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু, স্বতন্ত্র ও আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নারীরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতা ও মানবাধিকার লংঘন এবং জাতিগত আগ্রাসন, সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হতে বাধ্য হচ্ছে।
এ বছর জাতিসংঘ এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ ÔWomen in the Changing World of Work: Planet 50-50 by 2030Õ । যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে সকল নারী ও কন্যাশিশুর সমসুযোগ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, সকলের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য গতিশীলতা আনয়নের মাধ্যমে ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডাকে ত্বরান্বিত করা। সেই সাথে জাতিসংঘের (ইউএন ওমেন) উদ্যোগ জোরদারকরণ কর্মসূচির আওতাধীনে নতুন অঙ্গীকার এবং লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মানবাধিকার বিষয়ক অন্যান্য বিদ্যমান অঙ্গীকারসমূহের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫-২৭ সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শীর্ষ বৈঠকে এজেন্ডা ২০৩০ ও এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়। যেখানে উপস্থিত রাষ্ট্রের নেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। যেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য ও সহিংসতা বিলোপের জন্য কাজ করে যাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে- সকল ক্ষেত্রে নারী ও শিশুর উপর সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপকরণ; পাচার, যৌন ও অন্যবিধ নিপীড়নসহ সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে নারী ও শিশুর উপর সকল প্রকার সহিংসতা দূরীভূতকরণ; বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহের ন্যায় সকল প্রকার ক্ষতিকর ব্যবস্থা উচ্ছেদকরণ প্রভৃতি। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি বিশেষ বিধান রেখেই জাতীয় সংসদে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পাশ করেছে যা ব্যাপক বিতর্ক ও প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছে। আইনটি নামে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন হলেও বিশেষ বিধানের মাধ্যমে আইনে কন্যাশিশুর বিয়ের বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের এবছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও জুম্ম নারীদের বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করেছে- ‘নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করি’। উল্লেখ্য যে, অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক কালে জুম্ম নারী সমাজের জাগরণ লক্ষ্য করা গেলেও এখনও সার্বিকভাবে তারা পারিবারিক-সামাজিক বৈষম্য, বঞ্চনা ও নিপীড়ন থেকে যেমনি মুক্ত নয়, তেমনি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার কারণে তারা তীব্রভাবে জাতিগত নিপীড়ন ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতারও শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষত জুম্মদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলন দমনের নামে সেনাশাসন ও সিভিল প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সেটেলার বাঙালি, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা এ পর্যন্ত শত শত আদিবাসী ও জুম্ম নারী হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। অথচ এ সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী দুষ্কৃতকারীদের কেউ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়নি। স্বাধীনতার প্রায় ৪৫ বছর পরও বাংলাদেশের অপরাপর আদিবাসী জাতিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জুম্মদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। অধিকন্তু সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে একদিকে দেশের জনগণকে ‘বাঙালি’ হিসেবে পরিচিত করার মধ্য দিয়ে জুম্মসহ দেশের স্বতন্ত্র সংস্কৃতির অধিকারী আদিবাসীদের ‘জাতীয় পরিচয়’কে অস্বীকার করা হয়েছে, অপরদিকে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতি, সম্প্রদায়..’ ইত্যাদি বিতর্কিত পরিচয় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে জুম্মদের আত্মপরিচয়ের অধিকার, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভূমির অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এখনও চরমভাবে উপেক্ষিত। এমতাবস্থায় জুম্ম নারীদের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা এবং মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত হয়ে আসছে প্রতিনিয়ত।
সর্বোপরি, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্ম অধ্যুষিত অঞ্চলের মর্যাদা দিয়ে আদিবাসী জুম্মসহ স্থায়ী অধিবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হলেও দীর্ঘ ১৯ বছরেও তা যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় এবং উপরন্তু চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী নানা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হতে থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আবারও জটিল হতে জটিলতর দিকে ধাবিত হচ্ছে। বলাবাহুল্য, চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় দিনে দিনে চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী নানা ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, খোদ ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক জনমতকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, অপরদিকে তাদের ছত্রছায়ায় সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও সেনা-বিজিবি-পুলিশ কর্তৃক চুক্তি বাস্তবায়নে আন্দোলনকারী জনসংহতি সমিতি, এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও চুক্তির সমর্থক জনগণের উপর নানাভাবে দমন-পীড়ন, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, আটক, তল্লাশী, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি জোরদার করা হয়েছে। আরো উদ্বেগের বিষয় যে, সরকার, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ও নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে আদিবাসী জুম্মদের ভূমি বেদখল করে, তাদের স্বভূমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি জোরদার হয়েছে বহিরাগত অনুপ্রবেশ এবং সেটেলার বাঙালিদের গুচ্ছগ্রাম সম্প্রদারণের মধ্য দিয়ে জুম্মদের ভূমি বেদখলের প্রক্রিয়া। ফলে সমস্যার সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা আরও জটিলাকার ধারণ করে চলেছে এবং জুম্মদের জাতিগতভাবে নির্মূলীকরণের কাজ ও জুম্ম নারীর উপর বৈষম্য ও জাতিগত সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ২০১৫ সালে জুম্ম নারীর উপর সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৩১টি, যার মধ্যে ৯ জন জুম্ম নারী ধর্ষণের শিকার, ১২ জন ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন এবং হামলা-পাচার-যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১০ জন। অপরদিকে ২০১৬ সালে ১৪ জন জুম্ম নারী ও শিশু ধর্ষণ, ৬ জন ধর্ষণের চেষ্টা, ৩ জন যৌন নিপীড়ন ও ১ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেই ২ জন জুম্ম নারী ধর্ষণ ও ১ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।
বলাবাহুল্য সমাজের অর্ধেক অংশ নারীদের অবহেলিত, অবদমিত ও বঞ্চিত রেখে কোন সমাজ যেমনি অগ্রগতি লাভ করতে পারে না, তেমনি নারীর উপর রাষ্ট্রীয় বৈষম্য, জাতিগত-সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, নিপীড়ন ও বঞ্চনা জিইয়ে রেখে কোন দেশে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতে পারে না। আর পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জাতির উপর যে জাতিগত নিপীড়ন ও সহিংসতা, তা থেকে জুম্ম নারীর মুক্তি ও নিরাপত্তা, সর্বোপরি জুম্ম নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরী ও অপরিহার্য। অপরদিকে জুম্ম জাতির অধিকারের সনদ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এবং চুক্তিবিরোধী ও জুম্মস্বার্থ পরিপন্থী কর্মকান্ড প্রতিরোধ ও প্রতিবিধানের লক্ষ্যে চলমান অসহযোগ আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকতে পারে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের আহ্বান- আসুন, জুম্ম নারীর নিরাপত্তা বিধান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠাসহ নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে এবং পার্বত্য সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করি।
………………………………………………………………………………………………………………………………
৮ মার্চ ২০১৭ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন কর্তৃক কল্যাণপুর, রাঙ্গামাটি থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত।

Back to top button