মতামত ও বিশ্লেষণ

আদিবাসী দিবস ও বাংলাদেশের সমতলের আদিবাসী ? -জন হেমব্রম

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস! বিশ্বে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে বসবাসরতঃ আদিবাসীদের জন্যও আজকের দিনটি অত্যান্ত তাৎপর্য-পূর্ণ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবহেলিত, সুযোগবঞ্চিত আদিবাসী জাতিসমূহের সমস্যাগুলোর ওপর মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং তাদের অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষ ঘোষণা করে। আদিবাসীদের অধিকার, মানবাধিকার ও স্বাধীনতাসংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে ১৯৮২ সালের ৯ই আগস্ট জাতিসংঘের আদিবাসী জনগোষ্ঠীবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ-এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য জাতিসংঘ ১৯৯৪ সালের ২৩শে ডিসেম্বর ৯ই আগস্টকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বিশ্বের সকল আদিবাসী মানুষ দিনটিকে আদিবাসী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। সেই সাথে প্রত্যেক বছর জাতিসংঘ দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বের সহিত বিবেচনা সাপেক্ষে প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারন করে থাকে। এই বছরের প্রতিপাদ্য বিসয় হল- “Protecting the rights of indigenous peoples in voluntary isolation and initial contact” অর্থাৎ “আদিবাসীদের অস্তিত্ব সংরক্ষন এবং মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দেলনে নিজেকে অধিকতর সামিল করুন”।

আমি বরাবরই বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসীদের বিভিন্ন বিষয়াবলী আলোকপাত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে তথা সমতলে প্রায় ৩৩ টির অধিক বৈচিত্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। যা এই অঞ্চল তথা দেশের সংষ্কৃতিক সম্ভারকে সমৃদ্ধ করছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতির লালন ও অনুশীলন এর মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিতকরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক(৫ টি ভাষা ব্যতিত) শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত সহ ভূমি ও ভূখন্ডের উপর অধিকার নিশ্চিত লক্ষ্যে সমতলের আদিবাসীদের স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন ও পৃথক মন্ত্রণালয়ে গঠন হয়নি। দীর্ঘ লড়াই ও সংগ্রামের পরও আদিবাসীরা সাংবিধানিক ভাবে উপেক্ষিত এখনো স্বীকৃত নয়। ‘সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, নারী ও আদিবাসী (ভাত- কাপড় ও শিক্ষা), প্রতিবন্ধীদের সাম্যতা ও ন্যায্যতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অবস্থান খুব প্রতিবাদী, বাহবা দিতেই হবে। তবে সব যায়গায় সাম্যতা ও ন্যায্যতার কথা বলা হলেও শুধু আদিবাসীদের ক্ষেত্রে ন্যায্যতার প্রশ্নে, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অমিল পাওয়া যায়। বরাবরই আদিবাসীরা তাদের অধিকারের জায়গায় বঞ্চিত। আমি প্রত্যাশা করি, দেশের সকল সুশীল সমাজ আদিবাসীদের ন্যায্যতার বিষয়াবলী গুরুত্বের সাহিত রাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে তুলে ধরবেন। আমি আশাবাদী, নতুন প্রজন্মের বৈষম্য বিরোধী সরকার আদিবাসীদের ন্যায্যতার সীমাবদ্ধতাসমূহ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে।

দেশের ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে সংঘটিত ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে, শত মৃত্যূর বিনিময়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, তা অত্যন্ত গৌরবের, আনন্দের। এই আন্দোলনেও রিনা মুর্মূর (সমন্বয়ক-রংপুর বিভাগ) মত আদিবাসীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করে। আমি আন্দোলনে সাথে সম্পৃক্ত সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

কিন্তু এই গৌরবের লগ্নে, বিজয় আনন্দের অন্তরালে ঘটে যাওয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আদিবাসীদের ওপর হামলা এই বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেছে। এই বিজয় কলঙ্কিত করার লক্ষ্যে কিছু মানুষ মেতে ছিলো আদিবাসী গ্রামে- ঘরবাড়ি ভাঙচুর সহ লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং তাদের স্থানচ্যুত করায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেছেন “আমরা সবাই একটি শরীরের অঙ্গ। সংখ্যালঘু দের ওপর আক্রমণ হলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে না। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘সহিংসতায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের হামলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী৷” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্মনিত উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যালঘু কমিউনিটিকে বিশেষ নিরাপত্তা দায়িত্ব নিতে হবে। আমি্ সরকারের কাছে আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনতার নিরাপত্তার বিধান তৈরি দাবি জানাচ্ছি।
প্রত্যেক আদিবাসী পাড়া আজ নিদ্রিত নয়, পাহারারত:।

তাদের জান-মাল রক্ষায় হাতে তুলে নিয়েছে লাঠি,বাটুল সহ তীর-ধুনুক। ১৭৮৪ সালে বাবা তিলকা মাঝির নেতৃত্বে প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ১৮৫৫-৫৬ তে সংঘঠিত সিধু-কানু মূর্মূ নেতৃত্বে সাঁওতাল হুল, ১৮৯৯-১৯০০ সালে সংগঠিত বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মহান উলগুলান, তেভাগা আন্দোলন সহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের বীরত্বের অংশগ্রহন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আদিবাসীরা বীরের জাতি। তাদের রক্তে রয়েছে সিধু-কানুর রক্ত, তাদের রক্তে রয়েছে বিরসা মুন্ডর রক্ত ! তারা কখনো ভয় পায় না। তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় বদ্ধ পরিকর।

কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো স্বাধীন বাংলাদেশে আত্নরক্ষার প্রশ্ন উঠবে কেন? আদিবাসীদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় অস্ত্র তুলে নিতে হবে কেন? কেনো বারবার আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হবে?
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম সহ বিভিন্ন সংগঠনের তথ্য মতে সরকার পতনের পর সমতলের আদিবাসীদের ওপর বিভিন্ন স্থানে সংঘঠিত হামলা,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের চিত্র তুলে ধরলাম –

১. রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার (পাকড়ী ইউনিয়ন) দেওয়ানপাড়া গ্রামের আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের গণেশ কিস্কু এর বাড়ীতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ঘরের নগদ ক্যাশসহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং দুর্বৃত্তরা ঘরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ৯:৩০ ঘটিকা দিকে।
২. রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার যুগিডাং (দেওপাড়া ইউনিয়ন) আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়ের ৮-১০ টি পরিবারে ঘর-বাড়ি ভাঙচুর এবং হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ১০:৩০ ঘটিকা দিকে।
৩.নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সাদাপুর আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের রঞ্জিতের খড়ের পালা পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
৪.নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার রাউতাড়া আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়ের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ১১:৩০।
৫. নওগাঁ জেলার ধামরইহাট উপজেলার ভাদগ্রাম উরাঁও সম্প্রদায়ের সুধীর তির্কির বাড়ী ও দোকান লুটপাট। ঘটনার আনুমানিক সময় বেলা ১১:৩০ ঘটিকা।
৬. নওগাঁ জেলার ধামরইহাট উপজেলার কাউয়াকড়ি, আগ্রাদ্বিগুণ গ্রামের উরাঁও সম্প্রদায়ের তারামনি উরাঁওর বাড়ি ও দোকান লুটপাট করে গুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার আনুমানিক সময় বেলা ১১:৩০ ঘটিকা।
৭. নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের উরাঁও সম্প্রদায়ের অলোক উরাঁওকে হত্যার চেষ্টা। শারীরিকভাবে নির্যাতন।
৮. দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কাশিম নগরে আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মুঙ্গলু বেসরা’র বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় রাত আনুমানিক ২:০০ ঘটিকা।
৯. দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ৩ নং ধামইর ইউনিয়নের পিপলাগুচ্ছ গ্রামের ৫০ টি আদিবাসী সাঁওতাল বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ।
১০. দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার বিক্রমপুরে আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সমাই বেসরা এবং রবি হেমব্রমের বাসায় দুর্বৃত্তরা হামলা ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আতঙ্কিত আদিবাসীরা চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় আনুমানিক রাত ৮:২০ ঘটিকা।
১১. চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার টংপাড়া গ্রামের আদিবাসী রাজোয়াড় সম্প্রদায়ের চাষকৃত পুকুর/দিঘীতে দুষ্কৃতিকারীরা সমস্ত মাছ মেরে নিয়ে গেছে এবং রাজোয়াড় গ্রামকেই উচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেছে। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৭:০০ ঘটিকা হতে ১২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত।
১২. চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মহানইল (জভে) গ্রামের আদিবাসীদের চাষকৃত চাষ জমি (যা সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত লিজ) জমি দখলের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৮:০০ ঘটিকা।
১৩. দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার দরগাপাড়া আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চাষকৃত ১২ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের জনৈক ব্যক্তিরা। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৮:০০ ঘটিকা।
১৪. দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হরিপুর আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের গ্রামে বাড়ী ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ। ঘটনার সময় আনুমানিক বিকেল ৩:০০ ঘটিকা।
১৫. দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার বিক্রমপুর আদিবাসী সাঁওতাল গ্রামের ৪ টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় রাত ৯:০০ ঘটিকা।
১৬.নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার মদইল বাজারে আদিবাসী উরাঁও সম্প্রদায়ের বাবলু উরাঁও এর দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর। ঘটনার সময় আনুমানিক সময় বিকেল ৪:০০ ঘটিকা।
১৭. রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার সিন্দুকায় গ্রামের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় আনুমানিক সকাল ৯:০০ ঘটিকা।

এছাড়া দিনাজপুর জেলার, কাহারোল উপজেলার, ৫ নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের কান্তনগর মোড়/বারো মাইল-এ অবস্থিত বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন মহান সাঁওতাল বিদ্রোহের চিহ্ন/পথিকৃৎ সিধু-কানু ভাস্কর্য দুষ্কৃতিকারীরা ধ্বংস করে দিয়েছে। যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পুণঃনির্মানের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া সংঘঠিত হামলা ও লুটপাটের সাথে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনা ও ক্ষতিপুরণ প্রদান এই সরকারের দ্বায়িত্ব হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।

এই মূহুর্তে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরতঃ আদিবাসীদের সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। সাংগঠনিক শক্তিই পারে, আদিবাসীদের শোষণ বঞ্চনার সহ নৈতিক দাবি সমূহ সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে উপস্থাপনের। বাংলাদেশ বিভিন্ন আদিবাসী গণ সংগঠন সমূহ যারা আদিবাসীদের ন্যায্যতা নিয়ে কথা বলে, আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে, আদিবাসীদের বিভিন্ন শোষণ লাঞ্ছনা এবং বৈষম্যের বিষয় সমূহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে- বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসী মুক্তি মোর্চা এর মধ্যে অন্যতম। দেশের ক্রান্তিকালে এই সকল সংগঠনসমূহ যারা নীতি নির্ধারক পর্যায়ে রয়েছেন তাদের প্রতি আহবান থাকবে সকল বিভেদ ও ভিন্নমত ভুলে সাংগঠনিক শক্তিকে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে- আদিবাসী সমাজে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো। সেই সাথে আদিবাসীদের অস্তিত্ব সংরক্ষন এবং মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দেলনে নিজেকে অধিকতর সামিল করায় সকলকে উদ্বুদ্ধ করা। নতুন বাংলাদেশে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি সহ যে ন্যায্য দাবি সমূহ রয়েছে তা আদায়ের লক্ষ্যে সকল গণসংগঠন সমূহের ঐক্যবদ্ধ জোরালো দাবি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে নয় আদিবাসী হিসেবে ন্যায্যতা নিয়ে বাঁচার প্রয়াশকে সত্যি করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা, আদিবাসীদের নৈতিক দাবিসমূহ (যেমন-আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন ও মন্ত্রনালয় গঠন, নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ সহ অন্যান্য) বিবেচনা এবং বাস্তবায়নের গ্রহনের মাধ্যমে সকল প্রকার বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা।

 

লেখক 

সংস্কৃতি কর্মী 

Back to top button