আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ কেন জরুরি: সোহেল হাজং

৯ আগস্ট জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। জাতিসংঘ এবার এ আন্তর্জাতিক দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- Indigenous Peoples and AI: Defending Rights, Shaping Futures। এ প্রতিপাদ্যের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম দিবসটির বাংলা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- “আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ”। এ প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে এটিই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পৃথিবীজুড়ে যতই তার বিস্তার লাভ করুক না কেন এটি যেন আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে কোনো নেতিবাচক ভূমিকা না রাখে। কেন এর সার্থক প্রয়োগ জরুরি তা নিয়েই কিছু আলোচনা।
সহজ কথায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর বহুবিধ ব্যবহারের ফলে প্রযুক্তিতে যেমন একটি বিশাল পরিবর্তন আনা হয়েছে আবার এর বাড়বাড়ন্তের ফলে জনমনে উদ্বেগের জন্মও দিচ্ছে। এখন মানুষের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে অনেক জটিল কাজ খুব সহজে এবং স্বল্প সময়ে করতে পারলেও এর নেতিবাচক দিকগুলো মানবজীবনে কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার অনেক মানুষ এও আশঙ্কা করছে যে, ভবিষ্যতে এআই কী বিভিন্ন চাকরির আমূল পরিবর্তন করে দেবে কিংবা আদিবাসীদের নৈতিকতার মাঝে কোনো অবমূল্যায়ন বয়ে আনা হবে!
কেন আদিবাসীদের মনে এ আশঙ্কাটি বেশি কিংবা কেনই বা তারা এআই-এর সার্থক প্রয়োগের কথা অনুদাবন করছে! আমরা জানি, আদিবাসীদের অধিকার, যেমন তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, তাদের ভূমি, অঞ্চল এবং সম্পদ, এবং মাতৃভাষার অধিকারসহ তাদের স্বাধীন, পূর্বাবহিত ও সম্মতি গ্রহণের অধিকার (FPIC) আন্তর্জাতিক আইনে সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে। আদিবাসী অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রের ৩-৫, ১৫, ১৮-২০, ২৩, ৩১-৩৩, ৩৮ এবং ৪২ অনুচ্ছেদে আদিবাসীদের জীবন, সংস্কৃতি, ভূমি, অঞ্চল এবং সম্পদ সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণের অধিকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্রের ৩ নং অনুচ্ছেদে আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এই অধিকারের ভিত্তিতে তারা অবাধে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ করে এবং অবাধে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রাখতে পারে।
এ ঘোষণাপত্রের অনুচ্ছেদ ১৫ তে বলা হয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং সরকারি তথ্যভাণ্ডারে আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং আকাঙ্ক্ষার মর্যাদা এবং বৈচিত্র্যের অধিকার যথাযথভাবে প্রতিফলনের অধিকার রয়েছে।
এবং অনুচ্ছেদ ১৬তে বলা হয়েছে-আদিবাসীদের অধিকার আছে তাদের নিজস্ব ভাষায় নিজস্ব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার এবং কোনোরূপ বৈষম্য ছাড়াই সকল ধরণের অ-আদিবাসী কর্তৃক পরিচালিত গণমাধ্যমে তাদের প্রবেশাধিকার পাওয়ারও অধিকার রয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৩১ এক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বলা হয়েছে- আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, সেইসাথে তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির প্রকাশ, মানব ও উদ্ভিদ বিষয়ক সম্পদ, বীজ, ওষুধ, প্রাণী ও উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান, মুখে মুখে প্রচলিত প্রথা, সাহিত্য, নকশা, ক্রীড়া এবং ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা এবং দৃশ্যমান শিল্পকলা বজায় রাখার, নিয়ন্ত্রণ করার, সুরক্ষা এবং বিকাশের অধিকার রয়েছে। এই ধরনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির ওপর তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বজায় রাখার, নিয়ন্ত্রণ, সুরক্ষা এবং বিকাশ করার অধিকারও তাদের রয়েছে।
এবং সাথে এর বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র আদিবাসীদের সঙ্গে একযোগে এসকল অধিকারগুলোর স্বীকৃতি এবং সুরক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উপরোক্ত আদিবাসী অধিকারের বিষয়গুলো বিবেচনা করলে বোঝা যায়, এআই বা অন্য কোনো প্রযুক্তি ইচ্ছে করলেই আদিবাসী সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রচার করতে পারে না যদি সেখানে আদিবাসীদের সম্মতি বা সমর্থন না থাকে কিংবা আদিবাসী জ্ঞান, সংস্কৃতি ও তাদের তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে যদি সাংঘর্ষিক কিছু থাকে।
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে এখনও আদিবাসীদের সুনির্দিষ্ট বিষয়ে বিভাজিত ও সঠিক তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। তাদের তথ্য সংরক্ষণের কথা থাকলেও অনেক দেশেই এখনও কোনো সরকারিভাবে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই। বেসরকারিভাবে উদ্যোগ হিসেবে বলা যায়, ইউরোপীয়ান কমিশনের সহায়তায় এবং এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপলস প্যাক্ট, ইন্টান্যাশনাল ওয়ার্ক ফর ইন্ডিজেনাস অ্যাফেয়ার্স, ড্যানীশ ইন্সটিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস, ফরেস্ট পিপলস প্রোগ্রাম এবং টেবটেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আদিবাসী নেভিগেটর নামে একটি কাঠামো বিশ্বের ৩০টির মতো দেশে আদিবাসীদের দ্বারাই আদিবাসীদের মালিকানা ঠিক রেখে তাদের সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে চলেছে এবং আদিবাসীদের অ্যাডভোকেসীসহ তাদের অধিকার পর্যালোচনার কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও আদিবাসীদের আরো কিছু নিজস্ব উদ্যোগ রয়েছে তাদের তথ্য সংরক্ষণের। যদিও সরকারি পৃষ্ঠোপোষকতা বা অর্থের অভাবে বেশিরভাগ উদ্যোগগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাচ্ছে না।
আবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি না থাকার কারণে সরকার এখন নানাভাবে আদিবাসীদের পরিচয় প্রদান এবং নানা অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে থাকে। আমাদের দেশে আদিবাসী শব্দটি যত সহজে আগে ব্যবহৃত হতো্ ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনীতে বিভিন্ন নামে আদিবাসীদের উল্লেখ করা হলে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহারে সরকার কঠোর অবস্থান নেয়। যদিও আদিবাসীরা আদিবাসী নাম ছাড়া অন্য কোনো নামে স্বীকৃতিকে তারা শুরু থেকেই ঘোর আপত্তি জানিয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায়, সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে আদিবাসী শব্দ ব্যবহারে নানা নিষেধাজ্ঞা চলে আসে। এ অবস্থায় দেশে আদিবাসীদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে না পাওয়া অবাস্তব কিছু নয়। কেননা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও এটি ইতোমধ্যেই বিদ্যমান তথ্যের উপর নির্ভরশীল যেখানে সরকারি তথ্য খুবই গুরুত্ব রাখে। ঠিক সেভাবেই, যেখানে আদিবাসীদের সঠিক তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়না সেখানে তথ্যের ডিজিটাইজেশন-এ আদিবাসীদের মূল্যবোধ ও তাদের সাংস্কৃতিক অনুশীলনের নেতিবাচক উপস্থাপন হতে পারে, যার ফলে, আদিবাসীদের বাস্তবতার প্রতিফলন সেখানে নাও ঘটতে পারে। এভাবে তথ্যের উপর আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণের অভাবের ফলে ক্ষতিকারক স্টেরিওটাইপ এবং আদিবাসীদের সংস্কৃতির অবমূল্যায়ন বা সাংস্কৃতিক দখলের বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
আদিবাসী জ্ঞান ও তথ্য উপাত্ত যা তারা এতদিন ধরে চর্চা করে আসছে তার মালিক কিন্তু আদিবাসীরাই। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দায়িত্ব আদিবাসী ও রাষ্ট্র সকলের। আদিবাসীদের মাতৃভাষাগুলো এখন অনেকাংশে বিলুপ্তির পথে এগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে এআই ব্যবহার করে ইতিবাচকভাবে আদিবাসীদের মাতৃভাষা চর্চা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও দেশের প্রায় ৪০টি আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে।
আদিবাসী জ্ঞান ও তাদের তথ্য-উপাত্তের (ডাটা) সার্বভৌমত্ব বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদার দাবি রাখে। এ সার্বভৌম অধিকার তারা উত্তরাধিকার সূত্রে তাদের পূর্ব-পুরুষদের কাছ থেকে পেয়ে থাকে এবং তাদের এর বিশ্বদর্শন ও পরিচয়কে সমুন্নত রেখে চলেছে এবং তারা তাদের পবিত্র দায়িত্বের সঙ্গে তাদের কল্যাণ ও পরিচয়ের ধারাবাহিকতার বিকাশ অব্যাহত রেখেছে। তাই আদিবাসীরা তাদের জ্ঞান ও তথ্য-উপাত্তের ওপর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রয়োগ করে। আদিবাসীদের এসকল চিরাচরিত নৈতিকতাগুলো বিবর্জিত করে এআই-এর কিছু করা উচিত না। এ বিষয়ে রাষ্ট্রে শক্ত নীতি থাকা জরুরি। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আদিবাসীদের তথ্য-উপাত্তের সার্বভৌমত্ব নীতি না থাকার ফলে, তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবহারের জন্য মুক্ত, পূর্বাবহিত সম্মতি ব্যবস্থা গ্রহণের অভাব দেখা দিচ্ছে এবং যার ফলে, তথ্য সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় আদিবাসীদের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়ছে। আদিবাসী নারী ও শিশুরা যেন কোনভাবেই কোনো সাংস্কৃতিক পরিবর্তন বা বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাও মাথায় রাখেতে হবে।
তাই এখন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে সংযোগ সমতা, নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত অন্তর্ভুক্তি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বব্যাপী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতি রূপ দিচ্ছে, তাই আদিবাসী দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান ব্যবস্থা এবং অধিকারগুলিকে সম্মান এবং সংহত নিশ্চিত করা অপরিহার্য। ভালো দৃষ্টান্ত হল, ইতোমধ্যে কিছু দেশে আদিবাসীদের মূল্যবোধ ও নীতি সমুন্নত রেখে আদিবাসীদের ভাষা সংরক্ষণ ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কাজে এআই-এর ব্যহহার শুরু হয়েছে। আমরা বাংলাদেশেও এসব উদ্যোগ প্রত্যাশা করি।
পরিশেষে কিছু সুপারশি তোলে ধরছি-
আদিবাসীদের জ্ঞান ব্যবস্থা, রীতিনীতি বা অঞ্চলগুলির সাথে সম্পর্কিত আদিবাসীদের জ্ঞান ও তাদের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ওপর তাদের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করতে হবে এবং এসব জ্ঞান ও তথ্য-উপাত্তের ওপর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রয়োগের নীতিমালা প্রণয়নসহ যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সেসাথে আদিবাসীদের কাছ থেকে কোনো তথ্য উপাত্ত কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করলে তা যেন আদিবাসীদের কাছে দায়বদ্ধ থাকে তার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত।
আদিবাসী অধিকার সম্পর্কিত বিভাজিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ও পদ্ধতিগতকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ ও এ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং এ বিষয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারসহ তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত।
আদিবাসী জ্ঞান ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা এবং আদিবাসীদের মুক্ত, পূর্বাবহিত সম্মতির আনুগত্য নিশ্চিত করা এবং আদিবাসীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগে রাষ্ট্র এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা উচিত ।
সর্বোপরি, আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, আইএলও কনভেনশন নং ১০৭ বাস্তবায়ন, আইএলও কনভেনশন নং ১৬৯ অনুস্বাক্ষরসহ আদিবাসী বিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালা বাস্তবায়নের সরকারের সুষ্ঠু উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ সফল হোকে। সকলকে শুভেচ্ছা।
লেখক: সোহেল হাজং,
মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা, এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপলস প্যাক্ট ও
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য।