জাতীয়

আটকের একদিন পর আদালত থেকে পালালো ধর্ষক

গত ১৩ই নভেম্বর রোববার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে রাজধানীর বাড্ডায় গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রুবেল আদালত থেকে পালিয়েছেন। উক্ত ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইহসানুল হাসান ও কনস্টেবল দীপক চন্দ্র পোদ্দার। বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ইউসুফ আলী।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম সাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরী আদালতে বিকেল ৩টায় আসামি রুবেলকে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য হাজির করা হয়। এ সময় সুযোগ বুঝে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে পরে জানাতে পারবেন।
গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে রাফসান হোসেন রুবেল নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১। গত ২৫ অক্টোবর বাড্ডা এলাকায় এক গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
গত শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুবেলকে হাজির করা হয়। এ সময় র‌্যাব ১-এর কমান্ডিং অফিসার তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘ধর্ষণটা হয়েছে সাতজনের সহযোগিতায়। ধর্ষণ করেছে রাফসান হোসেন রুবেল। আর তাঁকে সহযোগিতা করেছে সরাসরি দুজন, সালাহউদ্দিন সালু ও আল আমীন। এ ছাড়া ভিকটিমের হবু স্বামীর কাছ থেকে ফিটিং দেওয়ার নাম করে ১৭ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস যে বিষয়গুলো তারা নিয়েছে, সেটার সঙ্গে ছিল আরো চার-পাঁচজন। মোটামুটি আমরা সাতজনকে এই ঘটনার সাথে পেয়েছি।’

Back to top button