আগামীকাল ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫, বুধবার সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা। এনসিটিবি কর্তৃক নবম দশম শ্রেণীর বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার আয়োজনে এই ঘেরাও কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে এনসিটিবি ভবনের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে অগ্রসর হবে বলে আদিবাসী ছাত্ররা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে।
পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী সংবলিত জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি সরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গত ১৩-১৪ জানুয়ারী রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি অংকন করে। তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল ও রোকেয়া হল সংলগ্ন বিভিন্ন দেওয়াল ও রাস্তায় প্রতিবাদী গ্রাফিতি অংকন করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য এবং বাংলাদেশের বগুত্ববাদী চরিত্রকে অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে আমাদের উক্ত আয়োজনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং আদিবাসী জনতা অংশগ্রহন করবে।
উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ ব্যানারে গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এরপর থেকে সারা দেশের আদিবাসী ছাত্র জনতা ও সাধারণ জনগণ সামাজিকি যোগাযগ মাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকালের কর্মসুচি হাতে নেওয়া হয়েছে।