আঞ্চলিক সংবাদ

৮দিন ধরে নিখোঁজ কথা চিসিম

চেলসী রেমাঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি আদিবাসী কিশোরী ‘কথা চিসিম’ (১৬)। ঘটনার পর ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরীর।
পরিবার বলছে নিখোঁজ নয়, অপহরণ করা হয়েছে কথা চিসিমকে। এ ঘটনায় শুভরানা নামের এক কিশোরকে দায়ী করছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ৪ নম্বর সদর ইউনিয়নের রাংরাপাড়া এলাকায়।

নিখোঁজ হওয়া কথা চিসিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোবরাকুড়া এলাকার মৃত প্রদীপ দারিংয়ের মেয়ে। নিখোঁজের বিষয়ে মা কবিতা চিসিম গত ১১ জুন থানায় একটি লিখিত ডায়েরি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. হোসাইন আল ইমরান।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন সকালে নিকটস্থ রাংরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যাবার কথা বলে আর ফিরে আসেনি চিসিম। সে ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার ফিরে না আসার ব্যাপারে এলাকার বেশ কয়েকজনকে সন্দেহ করলেও পরে বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের বাঘাইতলা বাজারের সাইফুল ইসলামের ছেলে শুভরানা (১৬) নামে এক কিশোরকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবার থানা পুলিশকেও অবহিত করেছে বলে জানা যায়।

কিশোরীর মা কবিতা চিসিম বলেন, এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো হদিস মেলেনি। অপহরণ করা হয়েছে নাকি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে তা-ও জানা নেই। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছি।

মেয়ের খালা তানিতা চিসিম জানান, বোনের মেয়ে হলেও অনেকটাই আমার আদরে ওর বড় হওয়া। মেয়েকে হারিয়ে পরিবারের সবাই বাকরুদ্ধ। পরিবার ও বান্ধবীদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, শুভ রানা নামে এক ছেলের প্রতারণার শিকার হয়েছে সে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার বোনের মেয়ের কোনো খোঁজ মেলেনি। তবে স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে মেয়ে উদ্ধারসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্তের এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, নিখোঁজের দুই দিন আগেও তারা শুভরানাকে মোটরসাইকেলে করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে দেখেছেন। তবে অপহরণ নয়, প্রেমঘটিত বিষয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
শুভরানার বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানান, ওই আদিবাসী কিশোরী নিখোঁজের পর থেকে তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান খান বলেন, নিখোঁজের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মেয়েটি উদ্ধারের ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ মামলা করা হয়নি।

Back to top button